parbattanews

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার অভিযোগে ৭ জনকে সাজা: আটক ১১৬

teknaf-news-pic-24-11-16-1-copy

টেকনাফ প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার করার অভিযোগে ৭ দালালকে সাজা প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় মিয়ানমারের ১১৬ রোহিঙ্গাকে আটকের পর স্বদেশে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে টেকনাফের কয়েকটি এলাকা থেকে বিজিবি-৬ এবং টেকনাফ থানা পুলিশ সলিম উল্লাহ নামে এক দালালসহ ৭ দালালকে আটক করে।

আটককৃতরা হলেন, মিয়ানমারের রইক্ষ্যং এর সুলতান আহমদের ছেলে সলিম উল্লাহ(৪০), টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস শুক্কুরের ছেলে মো. শফি উল্লাহ(৪২), একই এলাকার মৃত ওবাইদুর রহমানের ছেলে শামসুল আলম(৪৫), নাজির আহাম্মদ কালুর ছেলে সেকান্দর বাদশা (২৮), হ্নীলা নাইক্ষংখালী এলাকার আবুল হাসিমের ছেলে মো. আলম(৪৫), দমদমিয়া এলাকার সালামত উল্লাহর ছেলে মো. জুবাইর (২২), একই এলাকার বাঁচা মিয়ার ছেলে মো. ইদ্রিস(২৪) ও হ্নীলা মোচনী পাড়া এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে মো. জালাল উদ্দীন(৩৩)।

জানা গেছে, নাফ নদীতে রোহিঙ্গা বোঝাই ৮ টি ট্রলারে প্রায় নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ১১৬ জন রোহিঙ্গা প্রবেশের চেষ্টা করার খবর পেয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা থেকে শিশুসহ ১১৬ জন রোহিঙ্গা নারী পুরুষকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার ভোরে এইচকে আনোয়ারের প্রজেক্ট থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। এর আগে তাদের মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

টেকনাফ উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তুষার আহম্মেদের নেতৃত্বে বিজিবি ও পুলিশের পৃথক যৌথ টাস্কফোর্স অভিযানে  ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আটক শফি উল্লাহ, শামসুল আলম, সেকান্দর বাদশাকে ২ মাসের এবং মো. আলম, মো. জুবাইর, মো. ইদ্রিস ও মো. জালাল উদ্দীনকে এক মাস করে সাজা প্রদান করা হয়। পরে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের কক্সবাজার জেলে প্রেরণের জন্য টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানায়।

২ বর্ডার র্গাড ব্যাটলিয়ান অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু জার আল জাহিদ জানান, টেকনাফ সীমান্তের নাফনদীতে রোহিঙ্গা বোঝায় ১৪টি নৌকা প্রবেশের চেষ্টা করার খবর পেয়ে বিজিবির টহল টিমকে অবহিত করা হয়। এরপর সকালের দিকে বিজিবি সদস্যরা দেশীয় জলসীমা থেকে ওই সব নৌকাগুলোকে মিয়ানমারের দিকে ফেরত পাঠানো হয় বলে জানায়। তবে সীমান্ত পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়া সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও পুলিশ। এ তৎপরতার ফলে আগের তুলনায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অনেকটা কমে আসছে বলে জানা গেছে। তবে গত কয়েকদিনে দেশের অভ্যন্তরে অসংখ্য রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

Exit mobile version