parbattanews

পাহাড়বাসীর স্বপ্নের রাবিপ্রবি‘র যাত্রা শুরু

09.11.2015..Rangamati pic....

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পাহাড়ের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ‘রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’র উদ্বোধনের পর ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে নির্ধারিত সময়ের দীর্ঘ দশ মাস পরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে রাবিপ্রবি প্রশাসন।

একে অপরকে মিষ্টিমুখ করানোর মধ্য দিয়ে ‘রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’র শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হওয়ার মহেন্দ্রক্ষণটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে রাঙ্গামাটিসহ পাহাড়বাসীর অন্তরে। যদিও পার্বত্য চট্টগ্রামের তথাকথিত আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর এতে ঘোর আপত্তি ছিলো।

সোমবার রাঙ্গামাটি শহরের ‘তবলছড়ি শাহ্ উচ্চ বিদ্যালয়’র অস্থায়ী ক্যাম্পাসে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ইং শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম ব্যাচের ৭৫ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে পাহাড়বাসীর বহুল কাঙ্খিত শ্রেণি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মো: সামসুল আরেফিন।

শ্রেণি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’র ভাইস চ্যান্সেলর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, রাঙ্গামাটি সদর জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মালেক সামস উদ্দিন, রাঙ্গামটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চিত্ত রঞ্জন পালসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর আগে শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন অতিথিরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’টি বিভাগে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তির মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি।

‘রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়‘র ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের সংগঠন রাবিপ্রবি ছাত্র আন্দোলন সংগ্রাম পরিষদের লাগাতার আন্দোলনসহ গেল ৫ নভেম্বর আত্মহুতির মতো ঘোষণার ৭ দিন না যেতেই অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

অন্যদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের আপত্তি সত্ত্বেও সরকার বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)।

Exit mobile version