parbattanews

পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের উৎপাতে সরকারি উন্নয়ন কাজ বন্ধ : নিরাপত্তাবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনের দাবি

কাপ্তাই প্রতিনিধি:

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ার  ফলে দীর্ঘ দু’মাস  আট কোটি টাকার কাজ বন্ধ। এজন্য ঠিকাদারের দাবি অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প নির্মাণের।

ঠিকাদার সূত্রে জানাযায়, এডিবির অর্থায়নে ও এলজিইডি’র সিএইচটি প্রকল্পের তত্বাবধানে কাপ্তাই  উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের নারানগিরি হতে হাফছড়ি  খালের উপর ৩.৩ কিলোমিটার দুটি ব্রীজ নির্মাণ কাজ শুরু করেন (নভেম্ব-১৮)। নির্মাণ কাজ শুরু হতে পাহাড়ি কিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ঠিকাদারের নিকট মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। ঠিকাদার  কাজের স্বার্থে দাবিকৃত কিছু টাকা পরিশোধ করার পর প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন করা হয়।  আবারও  (৮ ডিসেম্বর-২০১৮) বাদবাকী টাকার জন্য পাহাড়ি ওই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ঠিকাদারের নির্মাণ শ্রমিকদের উপর  চরমভাবে  হামলা চালায়। হামলা করে ২৩টি মোবাইল ও নগদ অর্থ নিয়ে যায়। হামলায় ৫/৭জন শ্রমিক গুরুতরভাবে আহত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হয়। সন্ত্রাসীদের হামলা ও মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবির ফলে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ঠিকাদার ঘটনাটি দ্রুত উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করেন। এবং চন্দ্রঘোনা থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করা হয়। এর পর থেকে আজ পর্যন্ত কাজ বন্ধ রয়েছে।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রাফ আহমেদ রাসেল জানান, আমি বলেছি চাঁদার কারণে যেন উন্নয়ন কাজ বন্ধ না হয় এ ব্যাপারে ঠিকাদারকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। উপজেলা এলজিইডি অফিসার মো. মনিরুরল ইসলাম বলেন, চাঁদার দাবির জন্য কাজের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে ঠিকাদার চেষ্টা করছে সব কিছু ঠিকঠাক করে সামনে কাজ করার জন্য।

এদিকে ঠিকাদার মো. ফারুক রোববার(২০ জানুয়ারি) জানান, আজ দু’মাস ধরে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের চাঁদার দাবির ফলে আট কোটি টাকার নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। আহত নির্মাণ শ্রমিকরা প্রাণের ভয়ে এবং নিরাপত্তার অভাবে কাজ করতে আসতে চাচ্ছে না। ইতিমধ্যে প্রায় শাড়ে তিন কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন করেছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি প্রশাসনের নিকট দাবি করে বলেন, সরকারি কাজ ও এলাকার উন্নয়ন স্বার্থে কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেনা ও  বিজিবি বাহিনীর একটি অস্থায়ী ক্যাম্পের দাবি জানান। না হয় এ ব্রীজ নির্মাণ করা সম্ভাব নয় বলে উল্লেখ করেন।

Exit mobile version