parbattanews

পাহাড়িদের বৈসাবি উৎসব: বান্দরবানে শিথিল হলো লকডাউন

ফাইল ছবি

১১ সম্প্রদায়ের মধ্যে বান্দরবানে বসবাসরত সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় মারমা জনগোষ্টী। তাদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সাংগ্রাইকে ঘিরে বান্দরবানে শিথিল করা হয়েছে লকডাউন। বুধবার (৭ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসন সম্মেলনকক্ষে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলা শীর্ষক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।

এই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেছেন, পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই, বিজু, বৈসু, সাংক্রান উদযাপনের জন্য বুধবার (৭ এপ্রিল) থেকে আগামী ১২ এপ্রিল পর্যন্ত কাপড়ের দোকান, কসমেটিকস, জুতা, ব্যাগের দোকান গুলো সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

কোভিড-১৯ কমিটির সভায় গৃহিত প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দোকানগুলোতে বেচাকেনা করতে হবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

প্রতিবছর ১৩ থেকে ১৫ এপ্রিল পাহাড়ীরা ধর্মীয় প্রধান এই উৎসবটি পালন করে থাকে। পুরাতন বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার লক্ষ্যে যে উৎসব পালিত হয়। স্বাভাবিকভাবে প্রতিবছর এই উৎসবে বর্ণাঢ্য র‌্যালী, বুদ্ধ মুর্তি ¯স্নান, হাজার বাতি প্রজ্জলন, ধর্মীয় উপাসনা, নানা ধরনের বিনোদন মুলক খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অন্যতম আকর্ষণ মৈত্রী পানি বর্ষণ হয়ে থাকে। কিন্তু করোনার কারণে গত দুই বছর বান্দরবানে এই জমকালো অনুষ্ঠান থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল পাহাড়ীরা।

এদিকে বুধবার লকডাউনের তৃতীয় দিনে বান্দরবানে অনেকটায় স্বাভাবিক ছিলো অভ্যন্তরীন যানবাহন চলাচল। রিক্সা, ভ্যান, বেটারি চালিত টমটম গাড়ি, জিপ-পিকআপ এবং সিএনজি গাড়িগুলো চলাচল করতে দেখা গেছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও মোটামুটি কমবেশি খোলা ছিল। তবে দূর পাল্লার গনপরিহনগুলো যথারীতি বন্ধ ছিলো। বান্দরবান বাজারসহ আশপাশের হাট-বাজারগুলোতে জনসমাগম ছিলো চোখে পড়ার মত।

জেলা প্রশাসনের আয়োজিত সভায় বান্দরবান সিভিল সার্জন ডা: অংসুই প্রু মারমা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. লুৎফর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল’সহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Exit mobile version