parbattanews

পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের প্রাণনাশের হুমকিতে খাগড়াছড়িতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তিন ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থি

নির্বাচন বর্জন

স্টাফ রিপোর্টার:

খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সরকার দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা সদরে সাংবাদিকদের কাছে বিলি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিমূলে এ খবর পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার দিনের কোনো একটি সময়ে ৩জন প্রার্থী ১নং লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী লেলিন কুমার চাকমা, ২নং দুল্যাতলী ইউনিয়নের চেয়ানম্যান প্রার্থী মো: নুরে আলাম ও ৩নং বর্মাছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী নিলবর্ণ চাকমা স্বাক্ষরিত প্রেসবার্তায় উল্লেখ করা হয় লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নে ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে, ২নং দুল্যাতলী ইউনিয়নে ১,২,৩,৬,৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড এবং বর্মাছড়ি ইউনিয়নে প্রায় সবগুলো ওয়ার্ডে সরকারী দলীয় নৌকা প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, প্রচারে বাধা দেয়া এবং গণসংযোগ চালাতে পারছেন না বলে অভিযোগ আনেন।

এছাড়াও প্রাণনাশের হুমকী দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় এজেন্ট নিয়োগ করা যাচ্ছে। একটি আঞ্চলিক সংগঠন এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে প্রেস বার্তায় উল্লেখ করা হয়। এমতাবস্থায় ২৩ এপ্রিল নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই উল্লেখ করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শওকত ওসমান বলেন, প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়ার কথা আমরা শুনেছি। তবে একটি আইন-শৃঙ্খলা বৈঠকে এসব বিষয়ে অভিযোগ করা হলে আমরা সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করেছি অভিযোগের কেনো সত্যতা পাওয়া যায় নি। বরং প্রচারণায় উক্ত প্রার্থীরা যাচ্ছেন না বলে ভোটাররা জানান।

বর্মাছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জনকারী নিলবর্ন চাকমার ভাই হরিমোহন চাকমা বলেন, তারা তো এলাকায় ভোট চাইতেই যায় নি, কি করে ভাবলো যে বাধা দেয়া হয়েছে? লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনারস প্রতীকের প্রাথী প্রবিল চাকমা পরাজয় যখন নিশ্চিত তখন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পথটিই খোলা ছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন।

থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকীব বলেন, পরিেিবশ বিঘিœত হওয়ার মত কোনো ঘটনা এখনো ঘটেনি। বর্জনকারী প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণার পোষ্টার দেখেছি। আর কোনো সমস্যা হলে আমরা তো আছি। তবে এ প্রেসবার্তা সম্পর্কে প্রার্থীদেও সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে নিলবর্ষ চাকমার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোবাইল ফোনের কল রিসিভ করে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হন নি।

Exit mobile version