parbattanews

পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযানে নামছে সেনাবাহিনী

Bandarban Armi pic- 9.3স্টাফ রিপোর্টার:

পাহাড়ে নীরব চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সোমবার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ীদের চা চক্র অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন বান্দরবান সদর জোন কমান্ডার লে: কর্নেল নাজমুল হক।

তিনি বলেন, বান্দরবান ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় কতিপয় পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে চাঁদা আদায় করছে। তারা শুধু বাঙালীদের থেকে নয় সাধারণ পাহাড়ীদের থেকেও চাঁদাবাজী করছে। তারা চাঁদার টাকায় অস্ত্রের ভাণ্ডার গড়ে তুলেছে। তারা নিরাপত্তা বাহিনীকে জনগণের প্রশ্নের মুখোমুখি করে তুলেছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা ও শান্তি রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করতে সন্ত্রাসীরা উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের বিষদাত ভাঙতে সেনাবাহিনীর সে শক্তি আছে তারা তা জানেনা।

তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণকে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা দিতে ওয়াদা বদ্ধ। সকল আর্মি ক্যাম্পগুলোকে অতিরিক্ত টহল দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

এসময় ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জানান, যারা আর্মি ক্যাম্প স্থাপনের বিরোধীতা করছে তারাই চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করে আসছে। তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস করে, সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে, গাড়িতে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করে যার নির্দেশে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে তাদের নেতৃত্বে পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালিত হযে আসছে। এ ধরণের ব্যক্তিদের ব্যাপারে সরকারকে আরো কঠোর হবার অনুরোধ করেন তারা।

তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ীদের সংগঠনগুলো ব্যাপকহারে চাঁদাবাজি, খুন, অপহরণ করছে। এই চাঁদাবাজির টাকা দিয়ে তারা অস্ত্র কিনে প্রতিনিয়ত গোলাগুলি, হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করছে। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেন।

সূত্র জানায়, বান্দরবানে পাহাড়ের অভ্যন্তরের সড়ক গুলোতে প্রকার ভেদে প্রতিটি যানবাহন থেকে ৫-৮ হাজার টাকা, ব্রীক ফিল্ড গুলো থেকে ৪-৫ লাখ টাকা, সরকাররের উন্নয়ন কাজে ৬%-৭%, কাঠের ফুট প্রতি ৩৫ টাকা এবং বাৎসরিক ২৫০০০ হাজার টাকা দিয়ে টোকন নিয়ে ব্যবসা করতে হয় কাঠ ব্যবসায়ীদের।

Exit mobile version