parbattanews

পাহাড়ে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্থাপনকে স্বাগত জানাই- অংসুই প্রু চৌধুরী

অংসুই প্রু চৌধুরী

রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান  অংসুই প্রু চৌধুরী পাহাড়ে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন মোতায়েনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, কিছু কুচক্রি মহল শান্তিচুক্তির লক্ষ্য- এই অঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের ওপর আঘাত করেছে। আমি আজকে এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই । বর্তমান একটি পরিস্থিতিতে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলার পাশাপাশি বিশেষ বাহিনী হিসেবে এপিবিএন বাহিনী যে সমস্ত পরিত্যক্ত ক্যাম্পগুলো আছে সেই ক্যাম্পে আবারও এপিবিএন ব্যাটালিয়নকে মোতায়েন যে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে আজকে যে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছে আমি আমার পক্ষ থেকে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই, ধন্যবাদ জানাই ।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গত ২৬ মে রাঙামাটিতে এপিবিএন আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধনকালে একথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০১৮ সাল পর্যন্ত পার্বত্যাঞ্চলের চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি, খুন, গুম হত্যা, এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল যেটা বসবাসের অনুপযোগির অবস্থা। এমন কি আপনাদের সকলের মনে আছে বাঘাইছড়ি থেকে নির্বাচন ডিউটি শেষে ফেরত আসার পথে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ যারা নির্বাচন কর্মকাণ্ডের সাথে যারা জড়িতে ছিলো তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। এতে অনেকে নিহত হয়েছেন, অনেকে আহত হয়েছে। ২০১৮ সাল পর থেকে আমার মনে হয় এখানে দায়িত্ব পালনরত বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলার পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে।

২০১৮ সাল থেকে বর্তমান অবস্থা একটু উন্নত হয়েছে। আমরা একটু নিঃশ্বাস নিতে পারছি। আমরা যারা সাধারণ জনগণ আছি, আমরাও চাই পার্বত্য চট্রগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক। শান্তিচুক্তি বাস্তবায়িত হোক। কিন্তু শান্তিুচুক্তি পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মুষ্টিমেয় যারা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে তাদের কর্মকাণ্ড এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে। তারা শান্তি চুক্তি চায় না। তারা পার্বত্য চট্রগ্রামের উন্নয়ন চাই না। পার্বত্য চট্রগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক এটাই চায় না। চায় না বলে তার প্রতিনিয়ত এভাবে হত্যা, গুম এবং চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক যে সংগঠনের মধ্য দিয়ে, যার নেতৃত্বে শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে, তার দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য এই পার্বত্যাঞ্চলে একের পর এক আওয়ামী লীগ কর্মীদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। এখানে সুস্পষ্ট আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক কর্মী ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এখানে অবস্থান করছে। বিএনপি, জামাত অন্যান্য দল তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে না।

সুতরাং তাদের পরিকল্পনা, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন থেকে স্পষ্ট যে, পার্বত্যাঞ্চল থেকে যদি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিশ্চিহ্ন করা যায়, আওয়ামী লীগকে যদি পার্বত্যাঞ্চলে দুর্বল করা যায়, তাহলে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন হবে না এবং তারা ইচ্ছ মতো চাঁদাবাজি করতে পারবে, অপহরণ করতে পারবে, গুম করতে পারবে। এখানে আপনারা সকলেই জানেন অনেক গোষ্ঠী বিভক্ত হয়ে পার্বত্যঞ্চলে চাঁদাবাজি করছে। কিন্তু আমরা যারা জনগণ আছি আমরা তাদের কাছে অসহায়।

Exit mobile version