parbattanews

পাহাড়ে খুন, অপহরণ ও চাঁদাবাজি করে সরকারকে চাপে ফেললে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন বাঁধাগ্রস্থ হবে- বীর বাহাদুর এমপি

Bandarban pic-4.3

স্টাফ রিপোর্টার:

পাহাড়ে পূর্ণাঙ্গ শান্তি আসলে পার্বত্য শান্তিচুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। চুক্তি বাস্তবায়নের নামে পাহাড়ে খুন, গুম, অপহরণ ও চাঁদাবাজি করে সরকারকে চাপে ফেললে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন বাঁধাগ্রস্থ হবে। চুক্তির দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ সরকারের আমলেই পূর্ণাঙ্গ পার্বত্য শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।

শুক্রবার রুমা উপজেলা কমপ্লেক্সের সম্প্রসারিত ভবন ও হল রুমের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান অংথোয়ইচিং মার্মার সভাপতিত্বে রুমা সেনা জোন কমান্ডার লে. কর্নেল গোলাম আরিকুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হারুনুর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল আজিজ, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. চালেহ তস্তুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মংক্যচিং চৌধুরী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

বীর বাহাদুর বলেন, প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য আন্তরিক। তিন পার্বত্য জেলায় উন্নয়ন খাতে হাজার কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ দিয়েছেন। পাহাড়ের তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষা, যোগাযোগ, কৃষি ও পানীয়জলের সুবিধা সুনিশ্চিত করার কাজ চলছে।

এর আগে উপজেলা পরিষদের নতুন ভবনসহ ৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর এবং ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।

উন্নয়ন কাজ গুলো হল, এলজিইডি অর্থায়নে ৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে রুমা উপজেলা কমপ্লেক্সের সম্প্রসারিত ভবন ও হল রুমের ভিত্তি প্রস্তর, বড়ুয়া পাড়ায় এলাকায় ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে আরসিসি গার্ডার ব্রিজ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে দি ইয়ং বম অ্যাসোসিয়েশনের ভবন, ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মুরং বাজার জামে মসজিদ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ও ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে রুমা রেস্টহাউস ভবন নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর করেন প্রধান অতিথি।

পরে সমাজ সেবার সহায়তায় ৩৫০ জন প্রতিবন্ধিকে পরিচয় পত্র ও ৩০ জনকে সুবিধাভোগীকে গাভী, ছাগল, শুকর ও হাঁস মুরগি পালনের জন্য দশ হাজার টাকা করে তিন লক্ষ টাকা সূদ মুক্ত ঋণ বিতরণ করা হয়।

Exit mobile version