parbattanews

পাহাড়ে গত দেড় বছরে খুনের শিকার ৭০ জন

ডেস্ক রিপোর্ট:

আবারও নিরীহ মানুষের রক্ত ঝরলো পাহাড়ে। বন্ধ হচ্ছে না খুনাখুনি। গেল দেড় বছরে হত্যার শিকার হয়েছেন অন্তত ৭০ জন। সবগুলো হত্যার নেপথ্যে, আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর আধিপত্য বিস্তার।

সবশেষ বাঘাইছড়িতে সাতখুনের জন্যও দায়ী করা হচ্ছে দুটি সংগঠনকে। পুলিশ বলছে, সন্ত্রাসীরা সীমান্ত পেরিয়ে যাওয়ায় ধরা কঠিন হয়ে পড়ছে। আর সুশীল সমাজের মতে, সবপক্ষকে নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া শান্তি ফিরবে না পার্বত্য জনপদে।

বিভিন্ন সংস্থার হিসাব বলছে, তিন পার্বত্য জেলায় গত দেড়বছরে মারা গেছেন অন্তত ৭০ জন। গতবছরের আগস্টে নানিয়ারচরে ৬ জন খুনের পর, সোমবার সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ড হলো বাঘাইছড়িতে।

আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাতে কয়েক বছর ধরেই উত্তপ্ত পাহাড়। পাহাড়ের মানুষ বলছে, আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর মধ্যে মেরুকরণ, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে বাড়ছে এই খুনাখুনি।

বাঘাইছড়িতে হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ ও জনসংহতি সমিতি সন্তু লারমা গ্রুপ দায়ী বলে মনে করছেন সেনা কর্মকর্তারা। জানান, নির্বাচনে জনসংহতির চেয়ারম্যান প্রার্থী বড়ঋষি চাকমা ভোটবর্জনের পর সহিংসতার হুমকি দেন।

যেকোন হত্যাকাণ্ডের পর কিছুদিন চলে সাঁড়াশি অভিযান। তৎপরতা বাড়ে সব বাহিনীর। কিন্তু শেষপর্যন্ত খুব কমই ধরা পড়ে জড়িতরা।

শুধু অভিযানই নয় এমন সংঘাত বন্ধে আঞ্চলিক সংগঠনগুলোকে আলোচনার টেবিলে আনা দরকার বলেও মনে করেন পাহাড়ের বিভিন্ন মহল।

সূত্র: channel24

Exit mobile version