parbattanews

পাহাড়ে জুম চাষ বিষয়ে বিকল্প চিন্তা করা দরকার

রাঙামাটি প্রতিনিধি:

পাহাড়ে জুম চাষ বিষয়ে বিকল্প চিন্তা করা দরকার। আমাদের কথা ছিল একটি গাছ কাটলে দু’টি লাগাতে হবে। ভুমি ধ্বসের বিভিন্ন কারণগুলো চিহ্নিত করতে হবে। যেখানে ক্ষতি হয়েছে সেখানে নতুন করে বসতি না করা দরকার। মঙ্গলবার দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের জাতীয় কমিটির পরিদর্শন দল রাঙামাটি আসলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা এসব কথা বলেন।

সন্ধ্যা ৭টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বয় সভায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা জাতীয় কমিটির সভাপতি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সত্যব্রত সাহা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সচিব ড. অর্ধেন্দু শেখর রায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর ভাইস চেয়ারম্যান তরুন কান্তি ঘোষ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, সাংবাদিকবৃন্দ, সুশীল সমাজ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক, ও আইনসৃংখলা বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দর আরো বলেন, প্রকৃতির সাথে আমরা ভালো আচরণ করিনি। যেভাবে বনায়ন ধ্বংস করা হয়েছে তাতে দূর্যোগ আরো বাড়বে। এখানে পরিবেশ ও দূর্যোগ থামাতে হলে জ্যোত পারমিটও বন্ধ করা দরকার, পারিকল্পিত ভাবে নগরায়ণ করা এবং বনায়নের বিষয়ে একযোগে সবাইকে এগিয়ে আসাসহ ভবিষ্যতের প্রজম্মকে বাঁচাতে হলে এসব চিন্তা মাথায় রাখার সুপারিশ করেন কমিটিকে।

এদিকে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা জাতীয় কমিটির এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মঙ্গলবার ৯সদস্য রাঙামাটি আসেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পরে সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষের সভায় মিলিত হন।

প্রাকৃতিক দূর্যোগের জন্য জাতীয়ভাবে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেখানে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ, ফায়ার সার্ভিস, তিন জেলা প্রশাসক, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে রাখা হয়েছে সেই প্রয়োজনে কমিটি কো-অপ্টও করা যাবে বলে জানান, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা জাতীয় কমিটির সভাপতি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সত্যব্রত সাহা।

Exit mobile version