parbattanews

পাহাড়ে দেশীয় আম বাজারে উঠতে শুরু করেছে

পাহাড়ের রসালো আম আম্রপালি, বারি-৪, হাঁড়িভাঙ্গা, গোপালভোগ, আর্শিনী, হিম সাগর পাকঁতে এখনো অনেক সময় বাকি। যদিও এখনই অসাধু চক্র আম্রপালি আমে কার্বোহাইড মিশেয়ে স্থানীয়ভাবে বাজারজাত শুরু করেছে! অন্যদিকে স্থানীয় দেশীয় আম পুরোদমে বাজারে উঠতে শুরু করেছে। দর ক্রেতা- বিক্রেতার সাধ্যের মধ্যে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ির পাহাড়ে আম চাষে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। এছাড়া এখানকার রসালো আমের স্বাদই আলাদা। ফলে পাহাড়ের রসালো আমের কদর দেশ- বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার সীমাবর্তী গুইমারা ও রামগড় উপজেলার বিশাল এলাকা জুড়ে পাহাড়ের পরতে পরতে সার সারি আম বাগানে গাছে গাছে থোকায় থোকায় আম পরিপক্ক হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। দীর্ঘ অনাবৃষ্টিতে এবার বাগানে আমের ফলন কম হলেও বাগান মালিকরা বেশ খুশি। উল্লেখিত এই তিন উপজেলার একশত হেক্টর টিলা ভূমিতে এবার আম চাষ করেছেন শতাধিক বাগান মালিক।

এদিকে উন্নত জাতের আম পাঁকতে এখনো অনেক সময় বাকি থাকলেও দেশীয় বাগানের আম পুরোদমে পাঁকা শুরু করেছে। যদিও লকডাউনকে ঘিরে দেশী আম বাজার কাঁচা বিক্রি হচ্ছে গত দেড় মাস ধরে। প্রতি মণ কাঁচা আম ১ হাজার থেকে ৮শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর এখন চলছে পাঁকা আম বিক্রি। প্রতি মণ ১২শ থেকে ১৫শ টাকা। এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় কাঁচা ফল- ফলাদির বাজার তিনটহরীতে প্রতিদিন ২/৩ ট্রাক দেশীয় আম সমতলে যায়। আগামী একমাস পর এখান থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে গড়ে ১৫/২০ ট্রাক উন্নত জাতের আম সমতলে যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিনুর রহমান জানান, এখনো উন্নত প্রজাতির আম পাঁকতে অনেক সময় বাকি। আগামী মাস থেকে হীমসাগর, হাঁড়িভাঙ্গা ও আম্রপালি বাজারে আসবে। এর এক থেকে দুই মাস পর আসবে গোপালভোগ ও বারি-৪। এবার অনাবৃষ্টিতে বাগানে ফল কম হলেও লকডাউন না থাকলে বাজার দর ভালো হওয়ার সম্ভাবণা রয়েছে।

Exit mobile version