পাহাড়ে পরিকল্পিতভাবে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে

fec-image

পার্বত্যাঞ্চলে পর্যটন শিল্পের বিকাশ, উন্নত চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা ও পাহাড়ি অঞ্চলের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে মহালছড়ি হতে জালিয়াপাড়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২৪ কিঃমিঃ নান্দনিক মহাসড়ক নির্মান করে।

এই মহাসড়ককে ঘিরে ঐ অঞ্চলে পর্যটন শিল্পে সমৃদ্ধির সম্ভাবনা বেড়েছে। এসকল পর্যটন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে সরকারী খাস জায়গাগুলি ইউপিডিএফ (মুল প্রসিত পন্থি) ও জেএসএস (মুল) এবং ইউপিডিএফ ডেমোক্রেট সন্ত্রাসী দলগুলো দখল করার অপপ্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। তারা মহালছড়ি হতে জালিয়াপাড়া মহাসড়কের দৃষ্টিনন্দন জায়গাগুলিতে বিভিন্ন জুমঘর, কিয়াংঘর নির্মাণ করে নিজেদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এই দখল লড়াইয়ে এক গ্রুপ অপর গ্রুপের ঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে এবং ভেঙ্গে ফেলছে আর দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট প্রোপাগান্ডা রটিয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। ইতোমধ্যে এ অঞ্চলে জেএসএস এর অংগসংগঠন হিসেবে তুফান গ্রুপ নামে একটি সংগঠনের আবির্ভাব ঘটেছে এবং তারা বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারিং এর মাধ্যমে নিজেদের প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা রিজিয়ন সূত্র এবং স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২৯ জুন ২০২১ তারিখে খাগড়াছড়ির গুইমারা, সিন্দুকছড়ি, ঠান্ডাছড়ি এবং পঙ্খীমুরায় সেনাবাহিনী কর্তৃক কোন প্রকার ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। এ সকল অরাজনৈতিক দলগুলি বিভিন্নভাবে দেশ ও আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্ট চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসন এ বিষয়ে তৎপর রয়েছে, যাতে এ সকল দুস্কৃতিকারী সংগঠনগুলি চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি, ভূমি দখল এবং সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন