parbattanews

পাহাড়ে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৭ জঙ্গী ৩ পাহাড়ি সন্ত্রাসী গ্রেফতার

বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৭ জন এবং পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ৩ জনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। এ সময় তদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) র‍্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি নতুন জঙ্গি সংগঠন ‌‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র শীর্ষ নেতাদের ধরতে পাহাড়ে অভিযান শুরু হয়। সম্প্রতি জঙ্গিবাদে জড়িয়ে নতুন করে কথিত হিজরতের নামে ঘরছাড়া তরুণরা জামাতুল আনসারের হয়ে পাহাড়ি এলাকার আস্তানায় আশ্রয় নেয়। এসব আস্তানায় হিজরত করা তরুণদের ভারি অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

সম্প্রতি উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় হিজরতের নামে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হওয়া ১৯ জেলার ৫৫ তরুণের তালিকা প্রকাশ করে র্যাব। তাদের মধ্যে ৩৮ জনের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা প্রকাশ করা হয়।

এদিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলাসংলগ্ন রাঙামাটির বিলাইছড়ির বড়থলি থেকে আজ সকালে রাঙ্গুইয়া তঞ্চঙ্গ্যা (৩৩) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই যুবককে ১৫ অক্টোবর জঙ্গিগোষ্ঠী অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। দুর্গম ওই এলাকায় প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জঙ্গিবিরোধী সমন্বিত অভিযান চলছে।

এর আগে ১০ অক্টোবর ঢাকায় র্যাবের সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছিল, নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দিল শারক্বীয়ার সদস্যদের পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ি বিচ্ছিন্ন সংগঠনের ছত্রচ্ছায়ায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সেখানে বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে সমন্বিত অভিযান চলছে। জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া দুর্গম পাহাড়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ক্যাম্পে প্রশিক্ষণশিবির স্থাপন করেছে বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জঙ্গিদের খোঁজে পাহাড়ে ‘সমন্বিত’ অভিযানে ‘বেশ অগ্রগতি’ হয়েছে বলে গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা জানান, জঙ্গিবিরোধী অভিযান চলাকালে গত ১২ অক্টোবর বড়থলি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের টাইগারপাড়া থেকে ২৮ জন শ্রমিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতার জন্য সাইজামপাড়ায় গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২২ জন ১৩ অক্টোবর বাড়ি ফিরে গেলেও ছয়জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ছিলেন। ওই ছয়জন ১৫ অক্টোবর টাইগারপাড়ায় বাড়ি ফেরার পথে জঙ্গিদের মুখোমুখি পড়ে যান। দুজন শ্রমিক পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও চারজন জঙ্গিদের হাতে ধরা পড়েন। ওই চারজনের মধ্যে তিনজন ১৬ অক্টোবর পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও রাঙ্গুইয়া তঞ্চঙ্গ্যা পালাতে পারেননি।

Exit mobile version