parbattanews

পাহাড়ে শিক্ষা স্বাস্থ্য ও দূর্যোগে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী: লে. কর্ণেল আ: আলীম

_dsc0214-0000000-1-copy

লংগদু প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী খাগড়াছড়ি রিজিয়নের লংগদু জোন কর্তৃক সেনা-বন্ধুত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ‘উত্তর ইয়ারিংছড়ি সেনামৈত্রী উচ্চ বিদ্যালয়’র মতো আপন মহিমায় দীপ্তমান একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জন্মলগ্ন থেকে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ও সহায়তায় এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতায় স্কুলটি ইতোমধ্যে রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলার মধ্যে একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এভাবেই সেনাবাহিনী অত্র এলাকায় সন্ত্রাস দমন ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যেকোন দূর্যোগে জনগণের পাশে থেকে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

সোমবার লংগদু জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল আব্দুল আলীম চৌধুরী উত্তর ইয়ারিংছড়ি সেনামৈত্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নবনির্মিত একাডেমিক ভবন আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়টি ২০০০ সালের ১২ জুন থেকে ৬ জন শিক্ষক ও ১৩ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে স্কুলটিতে ১০২ জন পাহাড়ী ও ৮৬ জন বাঙ্গালী শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। ২০০৭ সালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে এগিয়ে আসেন। লংগদু জোন বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে শিক্ষকদের বেতন ও উন্নয়ন খরচ বাবদ মাসিক ২৫ হাজার টাকা হারে অনুদান দিয়ে আসছে।

ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক মাষ্টারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আটারকছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমা, করল্যাছড়ি আরএস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রহীম, উত্তর ইয়ারিংছড়ি সাব জোন ক্যাম্প কমান্ডার লেপ্টেন্যান্ট মুক্তাদির।

জোন কমান্ডার আব্দুল আলিম চৌধুরী বক্তব্যে তিনি আরো বলেছেন, শিক্ষার আলো ছড়াতে আমরা কালাপাকুজ্যাতেও ১৯৯৫ সালে একটি হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা করি। নতুন প্রজন্ম সু-শিক্ষিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করবে এটাই আমাদের লক্ষ্য। কেউ যাতে কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত না হতে পারে সে বিষয়ে শিক্ষক সহ অভিভাবকদের বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, কেউ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে মামলার আসামী হলে সে বড় ধরনের ক্ষতির সন্মুখীন হবে এবং ভবিষ্যতে চাকুরী সুযোগ হতে বঞ্চিত হবে। লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগী হওয়ার জন্য  সকল শিক্ষার্থীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

এরপর জোন কমান্ডার স্থানীয় ইয়াং ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি অব ইয়ারিংছড়ি সংস্থার উদ্যোগে প্রদত্ত  শিক্ষা উপকরণ উপহার জেএসসি পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন।

Exit mobile version