parbattanews

পাহাড়ে শুরু হয়েছে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ- প্রথম বারের মত ফসল কাটার উদ্বোধন

rice cutting pic 01

খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা॥
পাহাড়ের অনাবাদী প্রতি ইঞ্চি জায়গা সূমুহ চিহ্নিত করে সেচ-সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে খাগড়াছড়িতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু হয়েছে। প্রথমবারের মত পরীক্ষামুলকভাবে জেলা সদরের খবংপুরিয়ার ১২ একর জমিতে সেচ প্রদানের মাধ্যেমে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে ফসল কাটার উদ্ধোধন করা হয়েছে। মাঠ দিবসকে কেন্দ্র করে এ ফসল কাটার উদ্বোধন করা হয়।
খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সুত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ি পাহাড়ী এ জেলার সকল পতিত জমিকে কাজে লাগাতে পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এ বছর পরীক্ষামুলকভাবে জেলা সদরের খবংপুরিয়া ২০০কানি পতিত জমিকে কাজে লাগাতে জমির পাশে বাধঁ দিয়ে ছোট্ট ছোট্ট ক্রিক তৈরি করে সেচ প্রদানের মাধ্যেমে ১২কানিতে বাধঁ দিয়ে এবারে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে। এতে ২লক্ষ টাকা খরচ করে ৬ লক্ষ টাকা আয় হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে । পুরো জেলায় এবার ৬০কানি জমিতে ধান রোপন করা হয়েছে। এভাবে চাষাবাদ করলে তিনগুণ ফসল পাওয়া যায়।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেযারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পাহাড়ী কৃষি গবেষনা ইনষ্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মহব্বত আলী, সাবেক পেরাছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিভাবসু দেওয়ান, ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সেলিম উদ্দিন সরেজমিনে এ ফসল কাটার দৃশ্য পরিদর্শন করেন। এতে করে কৃষক/কৃষাণীরা আরো উৎসাহিত হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পাহাড়ী কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মহব্বত আলী পার্বত্যনিউজকে জানান, দিন দিন মানুষ বেড়েই চলছে কিন্তু জমি বাড়ছেনা। যদি এভাবে চলতে থাকে তবে ৭৫বছর পরে আর আবদি জমি পাওয়া যাবেনা। তাই বিশেষ পদ্ধতিতে আবাদ করার চিন্তা করেই এ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

Exit mobile version