parbattanews

পাহাড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখা হবে-ফিরোজা বেগম চিনু

বৃহস্পতিবার (৮ আগষ্ট) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গনে সচেতন পার্বত্যবাসীর ব্যানারে সভা

মহিলা সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মহিলা নেত্রী ফিরোজা বেগম চিনু বলেছেন, পাহাড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সাধাণ মানুষের পক্ষে হয়ে যুদ্ধ অব্যাহত রাখা হবে।

বৃহস্পতিবার (৮ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গনে সচেতন পার্বত্যবাসীর ব্যানারে অনুষ্ঠিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের আদিবাসী হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবির আড়ালে পার্বত্য চট্টগ্রামকে পৃথক রাষ্ট্র পরিণত করার সূদর প্রসারী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

চিনু আরও বলেন, পাহাড়কে নিয়ে একটি গোষ্ঠি বড় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা নাকি স্বাধীন জুম্ম ল্যান্ড প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ গোষ্ঠিটি সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, চাকরীজীবি, বাঁশ, কাঠ, লাকড়ি সব ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে চাঁদা আদায় করছে। তাদের হাত থেকে কেউ রেহাই পাচ্ছে না। তাদের কথা না শুনলে নির্বিচারে গুম, খুনের মতো কর্মকান্ড পরিচালনা করছে।

তিনি বলেন, তাদের থেকে সাধারণ মানুষ মুক্তি চায়। শান্তিতে বাঁচতে চায়। এ জন্য পাহাড়ি-বাঙালী সকল শান্তিকামী মানুষকে নিয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার সম্প্রতির শহর গড়ে তুলতে চাই। পাহাড়ের শান্তিকামী সকল সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে পাশে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব।

এর আগে সচেতন পার্বত্যবাসীর দলটি রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।

সচেতন পার্বত্যবাসীর বিক্ষোভ সভায় মো. জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে এবং ছাত্র নেতা মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মো. হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তৃতা করেন, রিজার্ভবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনোয়ার মিয়া বানু, তবলছড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জহির আহম্মেদ সওদাগর, রাঙামাটি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কমিশনার দিলদার হোসেন টিটু, ব্যবসায়ী নেতা মো. স্বপন, রাঙামাটি অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হালিম, রাঙামাটি করাত কল শ্রমিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিন বিশ্বাস, রাঙামাটি ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আলী আজগর, ব্যবসায়ী নেতা মো. ইউসুফ, ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং মহিলা নেত্রী মণিকা আক্তার প্রমুখ।

Exit mobile version