নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটি:
ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান (অব:) বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক জানান- ভূমি কমিশনে নিষ্পত্তির জন্য আমাদের কাছে সাড়ে ২২হাজার আবেদন জমা পড়েছে। শুনানী কার্যক্রম শুরু হলে সেগুলো যাচাই বাছাই করে সমস্যার সমাধান করা হবে।
মঙ্গলবার (৯অক্টোবর) দুপুরে রাঙ্গামাটি সার্কিট হাউজের সন্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের ৩য় বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
বিচারপতি আরও জানান, তিন পার্বত্য জেলায় আমাদের অফিস নির্মাণ শেষ করা হয়েছে। এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে।
বৈঠক পরবর্তী পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমাকে (সন্তু লারমা) ভূমি কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে সন্তুষ্ট কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান তিনি
চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিষ্টার দেবাশিষ রায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান- তিন পার্বত্য জেলায় ভূমিহারা ৮২হাজার উদ্বাস্তু পরিবারের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের পর তাদের পূনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
এর আগে ওইদিন সকাল ১১টায় রাঙ্গামাটি সার্কিট হাউজের সন্মেলন কক্ষে বৈঠকটি শুরু হয় এবং শেষ হয়- দুপুর আড়াইটায়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান (অব:) বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা চৌধূরী, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাচিং প্রু চৌধুরী, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী মনছুর, ভূমি কমিশনের সহকারী রেজিষ্ট্রার মো. সোয়েব উদ্দিন খান, রাঙ্গামাটি চাকমা সার্কেল চীপ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, বান্দরবান বোমাং সার্কেল চীপ উ চ প্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি মং সার্কেল চীফ এর প্রতিনিধি শৈলা প্রু চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এ বৈঠকে কমিশনের চেয়ারম্যানসহ ১০জন সদস্য নিয়ে কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
