পাহাড় থেকে নেমে সুইমিংপুলে ঝড়
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মেয়েটির সময় কাটতো পাহাড়ে-পাহাড়ে। পাহাড়ি নদীতে গা ভেজানো হলেও সাঁতার তেমন কাটা হতো না। তবে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার পর সেই মেয়েটিই এখন ঝড় তুলছে সুইমিংপুলে।
৩০তম জাতীয় বয়স ভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতার প্রথম দিনে চারটি সোনা জিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বান্দরবানের মেয়ে ড থৈ প্রু মার্মা। সোমবার সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল, ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলে, ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইল ও ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে সোনা চারটি জিতেছে ১৩ বছরের এই কিশোরী। তবে চারটি সোনা জিতলেও লক্ষ্য পূরণ হয়নি ড থৈ প্রু মার্মার।
বাড়ির পাশে নদীতে তার যাওয়া হতো মাঝে মধ্যে। তবে সাতাঁরু হওয়ার ইচ্ছা নিয়ে কখনোই নাকি নদীতে যাওয়া হয়নি তার!
“লাফ দেয়া, দৌঁড়ানো, এগুলোই ছিল আমার খেলা। সাঁতারু হওয়ার স্বপ্ন ছিল না।” ড থৈ প্রু মার্ম বলেন, প্রথম দিনে চারটি সোনা পেয়েছি। টুর্নামেন্টে ১২টি ইভেন্টে খেলব এবং বারোটিতেই সোনা জিততে চাই। আগামীতে আরো ভালো করতে চাই আমি।”
ড থৈ প্রু মার্মাকে সাঁতারু করে তোলার কৃতিত্ব বিকেএসপির কোচদের। ২০১১ সালে ভাইয়ের হাত ধরে বিকেএসপিতে আসে সে। তখন সাঁতারের ট্রায়াল চলছিল। তার সাঁতারু হয়ে ওঠার পরের ঘটনাগুলো জানালেন বিকেএসপির সাঁতার কোচ মোহাম্মদ সোলায়মান। ট্রায়ালে আমরা ছেলেমেয়েদের শারীরিক সামর্থ্য ও ভেসে থাকার ক্ষমতা যাচাই করি। যাদের এই ক্ষমতা আছে, তারাই ভালো সাঁতারু হয়ে উঠতে পারে। ট্রায়ালের সময় ওই পরীক্ষাগুলো করার পর আমাদের মনে হয়েছিল, মেয়েটির ভালো সাঁতারু হওয়ার সামর্থ্য আছে।
সামর্থ্যের প্রমাণ ড থৈ প্রু মার্মা দিয়েছে ধীরে ধীরে। ২০১১ সালেই বয়সভিত্তিক সাঁতারে তৃতীয় হন তিনি। পরের বছর তিন ইভেন্টেও তৃতীয় স্থান ছিল সর্বোচ্চ অর্জন। ২০১৩ সালে মিলল সোনার দেখা, সেবার ৪টি সোনা জিতেছিল সে। এবার তাই ১৩ বছর বয়স সত্ত্বেও ড থৈ প্রু মার্মা লড়ছে ১৫-১৭ বছর।
সূত্র-বিডি নিউজ