parbattanews

পাহাড় ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা


নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙামাটি:
গত বছরের ১৩ জুন পাহাড় ধ্বস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৬০টি পরিবারকে বাড়ি-ঘর নির্মাণের জন্য ৩য় পর্যায়ে ১৮পিস ঢেউটিন, ৪পিস টুলি ও প্রতিটি পরিবারকে নগদ ৫হাজার ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বিদেশি দাতা সংস্থা দি স্যালভেশন আর্মী বাংলাদেশ।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা সদরের কৈননীয়া কার্যালয় প্রাঙ্গণ ও পাংখোয়া পাড়ায় এসব আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া প্রধান অতিথি থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক সহায়তা ও ঢেউটিন বিতরণ করেন।
এ সময় দি স্যালভেশন আর্মী বাংলাদেশ-এর জেনারেল সেক্রেটারী জন রৌমিং লিয়না, স্যালভেশন আর্মীর ঢাকা ডিষ্ট্রিক অফিসার মেজর ডেনিস বিশ্বাস, স্যালভেশন আর্মীর কোর অফিসার ক্যাপ্টেইন সুকুমার সরকার, স্যালভেশন আর্মীর প্রজেক্ট ডিরেক্টর ভিক্টর মন্ডল, বিলাইছড়ি ১নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান, বিলাইছড়ি ফারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিদ্যালাল তঞ্চাঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি বল্লালছড়া মৌজার হেডম্যান তরুন কান্তি তঞ্চাঙ্গ্যা, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়সেন তঞ্চঙ্গ্যা, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হিমাওয়ান্তির কর্মকর্তা রাঙ্গাবী তঞ্চাঙ্গ্যাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
গত বছরের ১৩ জুন পাহাড় ধ্বস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিলাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ ৬০টি পরিবারের প্রত্যেককে বাড়ি-ঘর নির্মাণে ৮৪ হাজার ১৭৯ টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দেন স্যালভেশন আর্মী বাংলাদেশ সংস্থাটি। গত ১৯ জানুয়ারি ১ম পর্যায়ে নগদ ১০ হাজার, ২য় পর্যায়ে নগদ ২০ হাজার ও ৩য় পর্যায়ে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে বাকী অর্থগুলো প্রদান করা হবে বলে জানান সংস্থাটির জেনারেল সেক্রেটারী জন রৌমিং লিয়না ।
অন্যদিকে দাতা সংস্থা দি স্যালভেশন আর্মী বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে ভূমি ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থ রাঙ্গামাটি সদরের ৫০টি এবং কাউখালী উপজেলার ৪০টি পরিবারকে সমপরিমাণ অর্থ ও ঢেউটিন প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, বিদেশী দাতা সংস্থা দি স্যালভেশন আর্মী বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১২৮টি দেশে আত্মমানবতার সেবায় কাজ করছে। ১৯৭২ সাল থেকে এ সংস্থা বাংলাদেশে বিভিন্ন আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামে এ প্রথমবারের মতো তারা কাজ শুরু করেছে।

Exit mobile version