parbattanews

পা হারানো পানছড়ির সোহেল চাকমার কাটছে দুঃসহ জীবন

পা হারানো পানছড়ির সোহেল চাকমার কাটছে দুঃসহ জীবন। সোহেল চাকমার বয়স এখন (২৮)। পেশায় ছিল সে পাহাড়ের গাছ কাটা শ্রমিক। আড়াই বছর আগে কাজ শেষে গাছ বোঝায় জিপে চড়ে আসার সময় জিপটি উল্টে যায়। দুর্ঘটনায় পতিত হয় সোহেল। গাছের চাপায় পিষ্ট হয় তার দুটি পা। তার আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে এলেও উচ্চতর চিকিৎসার জন্য তাকে যেতে হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

তাকে বাঁচানোর জন্য ফেলে দিতে হয় পা দুটো। চার মাস চিকিৎসা শেষে ফিরে আসে আপনালয়ে। সোহেলের এই করুণ দশার সময় দুই সন্তান নিয়ে দিঘীনালায় বাপের বাড়ি চলে যায় সহধর্মিনী সুর্যপ্রভা চাকমা। এমন পরিস্থিতিতে দুটো কাঠের পিড়িতে বসেই মা-বাবার সাথে দিন কাটছে সোহেলের।

সোহেল চাকমার বাড়ি পানছড়ি উপজেলার ২নং চেংগী ইউপির ২নং ওয়ার্ডের দৃষ্টিনন্দন সীমান্ত সড়কের পাশের রত্নসেন পাড়া। তার বাবার নাম অনল চাকমা। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরেই তাদের বসবাস।

তার বাবা জানান, সোহেল সহ আমার তিন সন্তান। সোহেল সবার বড়। ছোট দুই সন্তানসহ আমি প্রতিবন্ধী। বর্তমানে সোহেলও প্রতিবন্ধী। একি পরিবারে আমরা এখন চার প্রতিবন্ধী। একটি সরকারি ঘরে সবাই মিলে থাকতে অনেক কষ্ট। সংসারে আয়-রোজগার করার মতো কেউ নেই। সোহেল প্রতিবন্ধী ভাতাও পাচ্ছে না। আরেকটি সরকারি ঘর পেলে অন্তত মাথা গোজার ঠাঁই হতো।

এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সুপন চাকমা জানান, পরিবারটি খুবই অসহায়। চার প্রতিবন্ধীর সংসারটিতে সব সময় অভাব লেগেই আছে। ছোট্ট একটি ঘরে পাঁচ পরিবারের সদস্যদের বসবাস। একটি সরকারি ঘরের সু-ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন তিনি।

Exit mobile version