parbattanews

‘পুনর্মূল্যায়িত ফলে আদিবাসী বাদ কেন’ – জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

 পার্বত্য নিউজ রিপোর্ট:

চৌত্রিশতম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পুনর্মূল্যায়িত ফলাফলে ‘আদিবাসী’ কোটায় আবেদনকারীদের বাদ দেয়ার কারণ জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেয়। সরকারি কর্মকমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) এইএম নেছারউদ্দিনকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

উপজাতি কোটায় আবেদনকারী প্রথম ফলে উত্তীর্ণ ৫৯ রিটকারীসহ ২৮০ জনকে বাদ দিয়ে প্রকাশিত ৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পুনর্মূল্যায়িত ফল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। গণপূর্ত সচিব, শিক্ষা সচিব, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) এইএম নেছারউদ্দিন, কমিশনের সকল বিভাগে অবস্থিত আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক/সহকারী পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ৮ জুলাই কোটার ভিত্তিতে ৩৪তম বিসিএসের ফল প্রকাশ করা হয়, এতে ১২ হাজার ৩৩ জন উত্তীর্ণ হন। এই ফলে ‘মেধাবী’ অনেকেই বাদ পড়েছেন অভিযোগ তুলে চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন শুরু করলে ১৪ জুলাই পুনর্মূল্যায়িত ফল প্রকাশ করা হয়, যাতে ৪৬ হাজার ২৫০ জন লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন। ওইদিন পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ ই ম নেছার উদ্দিন সাংবদিকদের বলেন, কোটার ভিত্তিতে প্রকাশিত ফলাফলে উত্তীর্ণ ১২ হাজার ৩৩ জনকে রেখেই ফল পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে। কিন্তু সংশোধিত ফল প্রকাশের পর ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অনেক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করছেন, আগের ফলে তারা উত্তীর্ণ হলেও সংশোধিত ফলে তাদের নাম নেই। এরপর প্রথম ফলে উত্তীর্ণ ৫৯জন আবেদনকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া গত রোববার হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন।

আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন বিএম ইলিয়াস ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেসুর রহমান। রিটে বলা হয়, গত ৮ জুলাই প্রকাশিত প্রথম ফলে রিটকারীদের নিবন্ধন নম্বর থাকার অর্থ হচ্ছে তারা ৩৪ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। কিসের ভিত্তিতে তাদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর পুনর্মূল্যায়িত ফলে বাদ দেয়া হয়েছে সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। পুনর্মূল্যায়িত ফলে আবেদনকারীদের বাদ দেয়া উদ্দেশ্যমূলক এবং সংবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

Exit mobile version