parbattanews

পুলিশি বাধার মুখে কক্সবাজারে বিএনপির মহাসমাবেশ

মহাসমাবেশের আগের দিন ১৪৪ ধারা জারি ও পুলিশী বাধায় থামতে পারেনি বিএনপিকে। তিন দফায় স্থান পরিবর্তন করেও কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে দলটি।

সোমবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, বেলা ১টায় অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও পরিস্থিতি ও ঝামেলা এড়াতে সকাল দশটার দিকে সমাবেশ শেষ হয়। তবে, এমন পরিস্থিতি আঁচ করেই বিএনপি’র তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আগের দিন থেকেই শহরে জড়ো হয়। সোমবার সকাল থেকেই শহর ও আশপাশের এলাকা থেকেই ব্যাপক লোক সমাগম ঘটে।

বেগম জিয়া, তারেক জিয়া, সালাউদ্দিন আহমেদ, লুৎফুর রহমান কাজলের ছবি সম্বলিত ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুনসহ নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগদান করে। ‘খালেদা জিয়া’র কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে, খালেদা জিয়া ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ সহ নানান স্লোগানে মুখর ছিল নেতাকর্মীরা।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘খালেদা জিয়া চিকিৎসা করাতে বিদেশ যেতে চেয়েছিলেন। সেখানেও সরকারের বাধা। কোটি মানুষের মায়ের চিকিৎসা করাতে যাদের বাধা তাদের প্রতি আমাদের ঘৃণা হয়। ‘চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে পাঠানোর সুযোগ করে দেয়া হোক। এটি তার মৌলিক অধিকার, মানবিক অধিকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের কোটি মানুষের মা বেগম খালেদা জিয়া তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, দুইবার বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিল। সেই মাকে মিথ্যা অভিযোগে কারাগারে পাঠানো হলো। ‘বেগম জিয়ার চিকিৎসার দাবিতে সমাবেশ করতে চাইলে তাতেও বাধা এলো।

মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজল, সাবেক সাংসদ আলমগীর মো. মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ।

জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি অধ্যাপক আজিজুর রহমান, জেলা যুব দলের সভাপতি এডভোকেট ছৈয়দ আহমদ উজ্জলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Exit mobile version