parbattanews

পুলিশী বাধায় ফেনী নদীর উৎপত্তিস্থলে পৌঁছাতে পারেনি বিশেষজ্ঞ টিম

তাইন্দংয়ের বটতলী বাজারে পুলিশী বাঁধার মুখে পড়ে ভাষানী অনুসারী পরিষদের বিশেষজ্ঞ টিম

পুলিশি বাধার মুখে ফেনী নদীর উৎপত্তিস্থল মাটিরাঙ্গার ভগবান টিলায় পৌঁছাতে পারেনি মাওলানা ভাষানী অনুসারী পরিষদের বিশেষজ্ঞ টিম। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকালের দিকে ভাষানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ফেনী নদীর উৎপত্তিস্থল গবান টিলা যাওয়ার পথে মাটিরাঙ্গার সীমান্তবর্তী তাইন্দংয়ের বটতলী বাজারে পুলিশী বাঁধার মুখে পড়ে। পরে সেখান থেকে ফিরে এসে প্রতিনিধি দল তাইন্দং ছড়া পরিদর্শন করে ঢাকায় ফিরেন।

২২ সদস্যের প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর, গণদলের চেয়ারম্যান ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, পানি বিশেষজ্ঞ ও জল পরিবেশ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. ম. ইনামুল হক, ইউনুছ মৃধা, ফরিদ উদ্দিন, মো: ইসমাইল, কে. এম রকিবুল ইসলাম রিপন এবং ভাষানী অনুসারী পরিষদের ফেনী জেলা নেতৃবৃন্দ।

তাইন্দং ছড়া পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তারা স্থানীয় পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের সঙ্গে ফেনী নদীর উৎস বিষয়ে চলমান বিতর্ক সম্পর্কে অবহিত হন।

ভাষানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সাথে ফেনী নদীর পানি চুক্তি করার ফলে তা নিয়ে জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। জনমনের সৃষ্ট উদ্বেগ থেকেই আমরা পানি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে ফেনী নদীর উৎপত্তিস্থল পরিদর্শন করি। পরিদর্শনকালে আমরা নিশ্চিত হয়েছি ফেনী নদী কোন আন্তর্জাতিক নদী নয়। এটি বাংলাদেশের নদী। কজেই অমিমাংসিত ৫৪টি অভিন্ন নদীর হিস্যার ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত ফেনী নদীর পানি দেয়া আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন।

গণদলের চেয়ারম্যান ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী বলেছেন, ফেনী নদীর উৎস বাংলাদেশের ভূখন্ডের মধ্যে। ১.৮২ কিউসেক পানি চুক্তিকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, গেল ১০/১২ বৎসর ধরে অবৈধভাবে উচ্চ ক্ষমতাস¤পন্ন ৩৬টি পাম্পের মাধ্যমে নদী থেকে পানি তুলে নিয়ে যাওয়ার চলমান প্রক্রিয়া পানি চুক্তি বাস্তবায়ন হওয়ার পর চলমান প্রক্রিয়া বন্ধ হবে কিনা এটি এখন বাংলাদেশের মানুষের প্রশ্ন।

ভারত ৩৬টি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্পের মাধ্যমে ৭০ কিউসেকের বেশী পানি উত্তোলন করায় বাংলাদেশের মানুষ ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন পানি বিশেষজ্ঞ ও জল পরিবেশ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. ম ইনামুল হক।

Exit mobile version