parbattanews

পুলিশের অভিযানে অপহরনকারীসহ সহযোগী আটক

বান্দরবানে থানচি উপজেলা রেমাক্রী ইউনিয়নের দুর্গম ৯নং ওয়ার্ড দলিয়ান পাড়া থেকে অপহৃত কিশোরীসহ অপহরনকারী ও তার সহযোগীকে ৫ দিনে মাথায় চট্টগ্রামে পতেঙ্গা থানা পুলিশের সহযোগিতাই বিজয়পুর এলাকা নূর আলীর বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করেন থানচি থানা পুলিশ।

শনিবার (২ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩ টা তাদের গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, অপহরনকারী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বাইশারী ইউনিয়নের বাসিন্দা রেজাউল করিম টিপু ৪০, সহযোগী রুবেল মিয়া ৩০। তাদের থানচি থানা উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ সামীম নেতৃত্বে পতেঙ্গা থানা থেকে শনিবার সন্ধ্যা বান্দরবানে আনা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান।

জানা যায় গত ২৪ মার্চ থানচি উপজেলা দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে দলিয়ান হেডম্যান পাড়া হতে দলিয়ান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সালে কিশোরী পঞ্চম শ্রেণীর পাশ করেন। করোনা মহামারি পরিস্থিতে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ষষ্ট শ্রেণীতে ভর্তি করার সুযোগ হয়নি। তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় রেজাউল করিম টিপু। সম্ভাব্য স্থানে অনেক খোঁজা-খুঁজি পর কিশোরীর বাবা গত ২৯ মার্চ থানচি থানা অপহরণ মামলা করেন।

সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) অর্থায়নের থানচি লিটক্রে সড়ক সীমান্ত এলাকা সংযোগ সড়ক হিসেবে ১০ কিলোমিটার একটি কাঁচা সড়ক নির্মাণের ৬৫ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেন। সড়কের বাস্তবায়নের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বান্দরবানে বাসিন্দা আনিসুর রহমান সূজনকে কার্যাদেশ দিয়েছেন। সড়কটি বাস্তবায়নের সূত্রে ডোজার চালক হিসেবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অপহরনকারী ঘটনাস্থলে দুই মাস কাজ করেন। হঠাৎ থানচি লিটক্রে সড়কটি মোড় পরিবর্তন করলে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত কাজ শেষ করে বাস্তবায়ন কাজ গত মার্চ মাসের ১৫ তারিখ মধ্যে স্থগিত করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মাটি কাটা ডোজার চালক টিপু এ সুযোগের কিশোরীকে অপহরণ করতে পারে বলে সন্দেহভাজন হিসেবে থানচি থানা কিশোরী অভিভাবক মামলা করে।

তদন্তকারী অফিসার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ সামীম সাংবাদিকদের বলেন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সূদ্বীপ রায় নির্দেশক্রমে আমি অপহরনকারী মোবাইল ট্যাকিং করে মামলা ৫ দিনের মাথা অপহৃত কিশোরী, অপহরনকারী ও সহযোগীদের সন্ধান পেয়ে সকলের অক্ষত অবস্থা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।

Exit mobile version