parbattanews

পুলিশের হাতে গ্রেফতার মাতাল ডাক্তার রাজেন্দ্র ত্রিপুরা

নিহতের পরবিারকে ৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান ও তার ছেলেকে চাকুরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে রফা হয়ে বিক্ষুদ্ধ জনতার রোষানল থেকে ডাক্তার রাজেন্দ্র ত্রিপুরা রেহাই পেয়েছেন। জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর সাথে টানা প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর ডাক্তার রাজেন্দ্র ত্রিপুরা সমঝোতার বৈঠকে জনতার রোষানল থেকে মুক্তি পান। তবে জনতার হাত থেকে মুক্ত হলেও পুলিশের হাত থেকে তিনি মুক্তি পান নি। তাকে সড়ক আইনে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সফিউল আজম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনায় সড়ক আইনে পুলিশের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকালে জেলার পানছড়ির পোড়াবাড়ী এলাকায় খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ রাজেন্দ্র ত্রিপুরার প্রাইভেট কারের ধাক্কায় সুশান্ত চাকমা (৫০) নামে এক অটো রিকসা চালক নিহত হয়। পানছড়িতে বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প শেষে করে নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি চালিয়ে খাগড়াছড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে পানছড়ি উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাকে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

ঘটনার পর ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী হাসপাতালটি ঘেরাও এবং চিকিৎসকের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর বৈঠকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিহতের পরিবারকে ৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ও নিহতের ছেলেকে চাকুরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে সমঝোতা হয়। সে সাথে ডাক্তার রাজেন্দ্র ত্রিপুরা বিক্ষুদ্ধ জনতার কবল থেকে মুক্তি পান। তবে জনতার কবল থেকে রেহাই পেলেও পুলিশের হাত থেকে রেহাই পান নি ডাক্তার তিনি। তাকে রাতেই পানছড়ি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে সড়ক আইনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেন।

স্থানীয়দের দাবি, ডাক্তার মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলিনে। ডাক্তার রাজেন্দ্র ত্রিপুরা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে ইতিপূর্বেও আরো কয়েকবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

Exit mobile version