parbattanews

পূর্ণিমা চাকমার রহস্যজনক মৃত্যুর সুরাহা হয়নি এখনো

রাঙামাটির রাজবাড়ী এলাকা থেকে কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের পর রহস্য দানা বাঁধছে। আলামত বিশ্লেষণে পুলিশ এটিকে আত্মহত্যা মনে করলেও, পূর্ণিমার স্বজনরা হত্যা বলে সন্দেহ করছেন। তবে মামলা ছাড়াই শনিবার তার পরিবার মরদেহ গ্রহণ করেছে।

রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘জিডির ভিত্তিতে ময়নাতদন্তের পর কলেজছাত্রীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। থানায় এখনো এ বিষয়ে কোনো মামলা হয়নি। তবে তদন্ত চলছে। মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে না খুন হয়েছে, তা তদন্তের পর জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি রহস্যজনক।’

পূর্ণিমা চাকমা রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। তার বাড়ি জুরাছড়ি উপজেলার ৪নম্বর দুমদুম্যা ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের বগাহালি এলাকায়। বাবার নাম সাধন চাকমা। লেখাপড়ার জন্য পূর্ণিমা রাঙামাটি শহরের রাজবাড়ী এলাকার মল্লিকা দেওয়ানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে এ বাসা থেকেই পূর্ণিমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

অভিযোগ উঠেছে, ঘটনা আড়াল করতে বাড়ির মালিক এক লাখ টাকা দিতে চেয়েছেন পূর্ণিমার বাবাকে। আর সমঝোতার কারণেই হত্যা মামলা হচ্ছে না।

মামাতো ভাই পলাশ চাকমা বলেন, ‘পূর্ণিমা আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে না, তাকে হত্যা করা হয়েছে। যার কারণে ঘটনা চাপা দিতে বাড়ির মালিক টাকা দিতে চাচ্ছেন পূর্ণিমার বাবাকে। যদি আত্মহত্যা হয়, তাহলে বাড়ির মালিক লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দিতেন না।’

অভিযোগের বিষয়ে বাড়ির মালিক মল্লিকা দেওয়ানসহ, পরিবারের অন্য কোনো সদস্যদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঘটনার পরপরই ওসি কবির হোসেন জানান, কলেজছাত্রী ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে গলায় ফাঁস নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। একদিন পরই ওসি বিষয়টি ‘রহস্যজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন।

মেয়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না সাধন চাকমা। তিনি বলেন, রোববার পূর্ণিমার সঙ্গে কথা হয়েছিল। তখন সমস্যার কথা বলেনি সে। সে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি ৪নম্বর দুমদুম্যা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রাজিয়ে চাকমা দেখছেন। তিনি বিস্তারিত জানেন।’

এ বিষয়ে জানতে রাজিয়ে চাকমাকে কয়েকবার কল করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

Exit mobile version