parbattanews

পেকুয়ায় আগুনে পুড়ল ১২ পরিবারের বসতঘর, মানবেতর জীবন

কক্সবাজারের পেকুয়ায় গভীর রাতে আগুনে পুড়ে গেছে ১২ পরিবারের বসতবাড়ি।

সোমবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বকশিয়াঘোনা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। তবে ধারণা করা হচ্ছে গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।

জানা যায়, ওই এলাকার ওমান প্রবাসী এরশাদুর রহমানের বাড়িতে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় এরশাদুর রহমানের ভাই মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, জিল্লুর রহমান, জাকের উল্লাহ, তার ছেলে মকছুদুর রহমান, হামিদুর রহমান, মৃত আবুল কাসেমের স্ত্রী নুরুজ্জাহান, ছেলে আমির হোসেন, ইমাম হোসেন, মৃত হাসান শরীফের ছেলে মনছুর ও তার ছেলে বেলাল উদ্দিনের বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।

এরশাদুর রহমানের স্ত্রী জুলেখা বেগম বলেন, আমি ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ আগুনের তীব্রতায় ঘুম ভেঙে যায়। রান্নাঘরে আগুন জ্বলছে দেখলাম। দ্রুত ছোট্ট বাচ্চাকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ি। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ আগুনে একে একে বারো পরিবারের চারটি বাড়ি চোখের সামনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে তিনি আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে নিদির্ষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি।

এতে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্রসহ ২০-২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন।

আগুন নিভাতে আসা হাজি বাদশাহ, নাছির উদ্দিন, জমির হোসেনসহ স্থানীয় লোকজন বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা ছুটে আসি। তখন বিদ্যুত ছিল। বিদ্যুত বন্ধ করে দেওয়ার জন্য পল্লী বিদ্যুতের অফিসে বারবার ফোন করি। প্রায় আধাঘণ্টা পরে তারা কল রিসিভ করে।

একদিকে আগুনের ভয়াবহতা, অন্যদিকে বিদ্যুতের কারণে মানুষ তাৎক্ষণিক আগুন নেভাতে পারেনি। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই বাড়িগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে পরিবারগুলো।

জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে একজন প্রবাসী ছাড়া সকলেই লবণ চাষী। ইউপি সদস্য ছলিম উল্লাহ আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল বলেন, আগুনে ১২ পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন উপজেলা জামাতের নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন পেকুয়া উপজেলা আমির মাস্টার আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক নুরুজ্জামান মঞ্জু, ছাত্রনেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, রাজাখালী ইউনিয়ন আমীর মাস্টার শওকত আলাম সহ অনেকে।

এ বিষয়ে স্টেশন ইনচার্জ শফিউল আলম জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত অগ্নিকাণ্ডস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তবে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত্র ঘটে।

Exit mobile version