কক্সবাজারের পেকুয়ায় বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় মহিলাসহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় টইটং ইউনিয়নের মিথ্যান্তঘোনা পশ্চিম টইটং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এসময় ওই এলাকার মৃত জাকের হোছাইনের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন (৫৫), তার মেয়ে রাশেদা বেগম (৩০), ছেলে আব্দুর রহমান (১৩), রফিক আহমদের স্ত্রী পারভীন আক্তার (২৩), রহিম উদ্দিনের স্ত্রী জিগারু বেগম (২৫) আহত হন।
খবর পেয়ে গ্রামপুলিশ গিয়ে আহতদের কে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত মরিয়ম খাতুন বলেন, কর্মসৃজনের কাজ করে এবং পাড়ায় পাড়ায় ফেরি করে অনেক কষ্ট করে টাকা রোজগার করে বাশঁখালীর নন্না মিয়া থেকে ৭ শতক পাহাড়ি বসতবাড়ীর জায়গা ক্রয় করি। ঘটনার দিন বসতবাড়ীর সীমানায় আমরা বেড়া দিতে গেলে আগে থেকে ওঁতপেতে থাকা একই এলাকার মৃত নজির আহমেদের পুত্র ফজল করিম ও তার পুত্র আবুল কাশেম, মীর কাশেম, রাসেল, মোক্তার আহমেদের পুত্র আব্দু রহিম, আব্দু রহিমের স্ত্রী হাসিনা বেগম, ফজল করিমের স্ত্রী সাইরু বেগম, ও তার মেয়ে তানজিনা বেগম আমাদের উপর লোহার রড, কিরিস, হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এসময় আমরা আত্মরক্ষার জন্য পালিয়ে ঘরে চলে আসলেও সন্ত্রাসীরা বসতঘরে এসে পুনরায় হামলা চালিয়ে আমিসহ আমার ছেলে মেয়েদেরকে মাথায় ও শরীরের কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে ক্ষান্ত না হয়ে আমাদেরকে ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে আমাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত রাশেদা বেগম জানান, আমাদের অসহায়ের সুযোগ নিয়ে ফজল করিম গ্যাং আমাদের কেনা জায়গাটা জবরদখল করতে পাঁয়তারা করে। তারা আমাদের উপর হামলা করে আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং ঘরে মালামাল ভাঙচুর চালায়। আমরা জাহেদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে গ্রাম পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার হয়েছি।
এ নিয়ে ফজল করিমের সাথে যোগাযোগ করতে মুঠোফোনে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হামলাকারীরা খারাপ লোক আহতরা অসহায় তাদেরকে মারধর করে ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে আমি খবর পেয়ে গ্রাম পুলিশ দিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করি।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
