parbattanews

পেকুয়ায় হত-দরিদ্রদের চাল নিয়ে ডিলারের ছলচাতুরী

কক্সবাজারের পেকুয়ায় হতদরিদ্রদের জন্য ন্যাযমূল্যে চাল বিতরণে এক ডিলারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ১, ৩ ও ৪নং ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিলার মো. সেকান্দর আলী গত ১৯ মার্চ সূলভ মূল্যে সুবিধাভোগীদের চাল বিতরণ করেন। বিতরণকৃত ওই চাল খুবই নিম্নমানের বলে জানায় ১নং ওয়ার্ডের বেলাল উদ্দিন, নুরুল আব্বাস ৩ নং ওয়ার্ডের আলতাফ উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিনসহ আরও অনেক সুবিধাভোগী।

গোঁয়াখালী এলাকার সুবিধাভোগী নুরুল আব্বাস বলেন, সেকান্দর সওদাগর প্রায় সময় চালের বস্তা পালটে নিম্নমানের চাল দেয় আমাদের। মূলত তাঁর নিজস্ব একটি চালের দোকান আছে। সেখানে আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত চালগুলো নিয়ে যায়। সেখান থেকে নিম্নমানের চাল এনে আমাদের দেয়।

এদিকে নিম্নমানের চাল দেওয়ায় বুধবার সুবিধাভোগীরা চালের বস্তা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে এসে চেয়ারম্যানকে জানান। চেয়ারম্যান এ ব্যাপারটি উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলামকে অবগত করেন। ইউএনও সরেজমিন পরিদর্শন করে চালগুলো জব্দ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সুলভমূল্যের এক ডিলার সুবিধাভোগীদের নিম্নমানের চাল বিতরণের খবর পেয়ে পেকুয়া ইউনিয়ন পরিষদে যায়। বিতরণ করা চালগুলো আসলেই অনেক বেশি নিম্নমানের। পরে চালগুলো জব্দ করা হয়েছে। চালের এ কেলেঙ্কারির সাথে যারা জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে নিম্নমানের চাল বিতরণের দায় নিতে নারাজ পেকুয়া সুলভমূল্যের চাল বিতরণ কার্যক্রমের ট্যাগ অফিসার মোস্তফা জামান। তিনি বলেন, কোন মানের চাল বিতরণ করা হচ্ছে তা দেখার দায়িত্ব আমার না। আমার কাজ হলো চালগুলো যথাযথভাবে বিতরণ হচ্ছে কিনা তা দেখা। চাল ভালো-খারাপের বিষয়টি গুদাম কর্মকর্তাই ভালো জানবে।

এ বিষয়ে জানতে চকরিয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছির উদ্দিনের সাথে বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

অভিযুক্ত ডিলার মো. সেকান্দর আলী বলেন, গুদাম থেকে যা এসেছে তাই আমি বিতরণ করেছি। এবারে কিছু চাল নিম্নমানের পড়েছে। ইউএনও সাহেব নিম্নমানের চালগুলো রেখে দিয়ে সুবিধাভোগীদের ভালো মানের চাল দিতে বলেছে। এখন তাই করতেছি।

Exit mobile version