parbattanews

পেকুয়ার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীদের আতংকের নাম দারোগা মতিন

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া : 

কক্সবাজারের পেকুয়া থানার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীদের মাঝে দারোগা মতিন আতংক বিরাজ করছে। সম্প্রতি থানার এ অপারেশন অফিসার উপজেলার মাদক আস্তানা গুড়িয়ে দেয়া ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তালিকার আসামীদের একের পর এক পাকড়াও করায় অপরাধীরা এখন তাকে দেখলেই নিরাপদে পালিয়ে যায়। এদিকে তারই সহযোগিতা করেছেন পেকুয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিএসবি শাহিন মজুমদার।

এক সময়ের ডাকাত সম্রাট ছৈয়দনুরকে আটক, শিলখালীর ডাকাত আস্তানায় দাফায় দফায় হানা দিয়ে কয়েকজন চিহ্নিত ডাকাতকে গ্রেফতার করা করেছেন দারোগা মতিন। টইটং এলাকার আলোচিত দা বাহিনীর আস্তানায় হানা দিয়ে ডাকাত মালেক ও খালেককে আটক করে দা বাহিনীর চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়ায় দা বাহিনীর নাছির বার বার দারোগা মতিনের তাড়া খেয়ে এক পর্যায়ে মালেশিয়ায় পালিয়ে গেছে বলে গুঞ্জণ উঠেছে।

পেকুয়া থানা সত্রে জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী ফোরকান, মোখতার সহ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাদের আটক করায় পলাতক আসামীদের মাঝে দারোগা মতিন মুর্তিমান আতংক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন কয়েকজন পলাতক আসামীর পিছু নেয়ায় সাধারণ অপরাধীরা আরো বেশি আতংকিত হয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন ও সচেতন লোকজন বলেন, তার অপারেশনের তাড়া খেয়ে পেকুয়ার প্রায় শীর্ষ সন্ত্রাসীরা এলাকা ছাড়া হয়ে গেছে। পেকুয়া চৌমুহনী, পেকুয়া বাজার, আহমদ ডিলার চৌমুহনী পূর্বপাশে এখন আর মদের দূর্বিসহ গন্ধ ও মাদক সেবীদের উৎপাত দেখা যায়না।

বিশেষ করে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রকিব পেকুয়া থানায় যোগদানের পর সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার পর সার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সচেতন মহল মনে করেন, পুলিশ চাইলে যত বড় অপরাধীই হোক না কেন, যত প্রভাবশালী হোক না কেন ধমানো কোন ব্যাপারই না, আর দারোগা মতিন পেকুয়ায় যোগদান করে সেটিই প্রমাণ করেছেন।

পেকুয়া থানার এস.আই আবদুল মতিনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি চলতি বছরের ৭জুন পেকুয়া থানায় যোগদান করেন। এর পূর্বে র‌্যাব-৪ ইন্টেলেজিং ইউং অপারেশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। পেকুয়া থানায় যোগদান করার পর থেকে চিহ্নিত ডাকাতি ও চাদাবাজি মামলার ২১জন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেন। এছড়া অন্যান্য ওয়ারেন্ট আসামী সহ প্রায় ৫০জন আসামীকে গ্রেফতার করেন।

পেকুয়া থানা সূত্রে আরো জানা গেছে, উল্লেখযোগ্য আটক পলাতক আসামীদের মধ্যে রয়েছে, হত্যা অপহরণ চাদাবাজি সহ ৭/৮ মামলার আসামী সাজ্জাদ, ৩টি ডাকাতি মামলার পলাতক আসামী ডাকাত শফি ও জগু ডাকাত, টইটং এর জনপদে নতুন আতংকিত বোরকাবাহিনীর প্রধান খোকনকে আটক করেন। পেকুয়া থানার মাদক বিরুধী অভিযানের সময়, পেকুয়া সদরের মচন্যাকাটার মাদক সম্রাট জসিম, গোয়াখালীর মানিক ও কাদের, পেকুয়া মিয়া পাড়ার জসিম, রাহাতজানি পাড়ার কালুকে মদ সহ আটক করা হয়।

এদিকে গুঞ্জণ ওঠেছে হত্যা ডাকাতি লুটপাট সহ অসংখ্য মামলার পলাতক আসামী বনের রাজা জাহাঙ্গীর গেল উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের সময় বন ছেড়ে বারবাকিয়ায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করলেও এখন কয়েকদফা তাড়া খেয়ে বনেই বসবাস করছে।

Exit mobile version