পেকুয়ার করিয়াদ্বিয়ার দ্বীপের আরএস ঘোনায় ডাকাতি: মালামাল লুট, লবণ চাষী আহত

 

পেকুয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের আরএস ঘোনায় দূর্ধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে।  এসময় ডাকাত দলের হামলায় মো. ছবি নামের এক লবণ চাষী আহত হয়েছে। সংঘবদ্ধ অস্ত্রধারী ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে আর এস ঘোনার চাষীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন সেট, ও মাঠের পলিথিনসহ লবণ তৈরীর সরঞ্জামাদি লুট করে নিয়ে গেছে। ৩ ফেব্রুয়ারি রোববার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় এলাকাবাসীদের সূত্রে ও আহত লবণ চাষী মো. ছবি জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আর এস ঘোনায় ১৫/২০ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত দল হানা দেয়। এসময় ডাকাত দল আর এস ঘোনার ২৫ একর লবণ চাষের জমির পলিথিন ব্লেড দিয়ে কেটে দিয়েছে। ডাকাতদল তাকেসহ আরো ৫/৬ জন চাষীকে মারধর করেছে। ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেছে। লবণ মাঠের বাসা থেকে চাষীদের নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন সেটও লুট করেছে। ব্লেড দিয়ে লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দিয়েছে।

করিয়ারদিয়ার বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তাফা অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় লবণ চাষীরা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সংঘবদ্ধ ডাকাত দল করিয়ার দিয়া আর এস ঘোনা, দ্বীপের নাপিতারঘোনা, ছোট বাইশারী, কুমবাইশারী, বড় বাইশারীর লবণ চাষী ও ব্যবসায়ীদের কাছ অব্যাহতভাবে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছিল। ডাকাত দলের দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় গত দেড় মাসের ব্যবধানে করিয়ারদিয়ায় পৃথকস্থানে দফায় দফায় ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে।

জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে ২৫ ডিসেম্বর মৌলভী রফিক আহমদের মালিকানাধীন কার্গোবোটে ও এর ৩ দিন পর ২৮ ডিসেম্বর ইউপি সদস্য জাফর আলম চৌধুরী মালিকানাধীন দুটি কার্গোবোটে ডাকাতি হয়েছে। এ সময় এ দুটি বোট থেকে দুটি মেশিন লুট করে। গত দেড় মাসের ব্যবধানে করিয়ারদিয়ায় অন্তত তিন দফা ডাকাতি সংঘটিত হয়। মনজুর আলমের চিংড়িঘেরের বাসায়  ৭ জানুয়ারি ডাকাতি সংঘটিত হয়। এ সময় ওই বাসা থেকেও বিপুল পরিমাণ মালামাল লুট করে। ২৬ জানুয়ারি রাতে ১৫ থেকে ১৬ পয়েন্টে ডাকাতি হয়।

করিয়ারদিয়া ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা ছৈয়দ আলম জানায়, তার লবণ মাঠের বাসায়ও ডাকাতি হয়েছে। মেশিন নিয়ে গেছে। ডাকাতদল বেপরোয়া হয়েছে। চাষীরা আতংকে দিনাদিপাত করেছে।

করিয়ারদিয়ার ইউপি সদস্য জাফর আলম চৌধুরী জানায়, আমার কার্গোবোট থেকে মেশিন নিয়ে গেছে ডাকাতরা। নলবিলা, মাতারবাড়ি, বদরখালীসহ মহেশখালীর জলদস্যুরা এখানে ডাকাতি করছে। নলবিলার একজন পেশাদার ডাকাত ও করিয়ারদিয়ার পেশাদার ডাকাতদের সমন্বয়ে এ ডাকাতি হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। তিনি অবিলম্বে এসব ডাকাতদলের সদস্যদের দ্রত গ্রেফতারসহ স্থানীয় লবণ চাষীদের নিরাপত্তা প্রদানে স্থানীয় প্রশাসন ও উর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূঁইয়া জানান, ভূক্তভোগী লবণ চাষীরা থানায় লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন