নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় সংষ্কারের ছোঁয়া পড়েনি শিলখালীর জারুলবুনিয়া নুইন্ন্যের ছড়ায়। ফলে, বর্ষা মৌসূমে প্রতিনিয়ত জলাবদ্ধতা চাষাবাদ ব্যাহতের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলার ৩ পাহাড়ি জনপদের অন্যতম একটি গ্রামের নাম শিলখালী। আর এ গ্রামের বিশাল জনঅধ্যূষিত মহল্লার নাম জারুলবুনিয়া। বিস্তির্ণ এ পাহাড়ি লোকালয়ের পাহাড়ি এলাকার বৃষ্টি ও ঢলের পানি নিষ্কাশনে যে কয়টি ছড়া ও খাল রয়েছে তার মধ্যে জারুলবুনিয়া নুইন্ন্যের ছড়া অন্যতম।
স্থানীয় একাধিক প্রবীন ব্যক্তিত্বের সাথে আলাপকালে তাদের মন্তব্য তাদের এলাকা জারুলবুনিয়ার নুইন্ন্যের ছড়া একটি জনগুরুত্বপূর্ণ পানি চলাচলের পথ হিসাবে লোক সমাজে পরিচিত। একসময় এ ছড়া দিয়ে নৌ-পথে লোকজনের গন্তব্য যাত্রা ও ব্যবসায়ীদের মালামাল আনা নেয়া হতো জারুলবুনিয়ার ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক বাহক নুইন্ন্যের ছড়া দিয়ে। কিন্তু এ যাবত ছড়াটিতে লাগেনি কোন ধরনের সংষ্কার বা রক্ষনাবেক্ষন ছোঁয়া। ফলে, দখল দূষনের পাশাপাশি পাহাড়ি ঢলের পলিতে একাকার হয়ে বর্তমানে ছড়াটি হারিয়েছে তার নাব্যতা।
তাছাড়া, ছড়াটির নাব্যতা পূনরুদ্ধারে কর্তৃপক্ষ এ যাবত কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ওই ছড়া সংগ্লন্ন ও তার আশপাশের প্রায় কয়েকশত একরের ফসলী জমির চাষাবাদ কার্যক্রমও হয়েছে বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এনিয়ে স্থানীয়রা হতাশ ও উদ্বিগ্ন হলেও কর্তৃপক্ষ রাখেনা তার কোন খবরা খবর।
শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচী ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বেলাল উদ্দিন এবং অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন আলোকিত জারুলবুনিয়া একতা সংঘে’র চেয়ারম্যান সাংবাদিক এস.এম.ছগির আহমদ আজগরী শিলখালীর জারুলবুনিয়ায় জলাবদ্ধতা ও চাষাবাদ ব্যাহতের ঘটনার আশু অবসানে অভিলম্বে শিলখালীর জারুলবুনিয়া এলাকার নুইন্ন্যের ছড়া পূণঃখনন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নাব্যতা পূণরূদ্ধারের পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী এছড়ার আধুনিকায়নে পদক্ষেপ নিতে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের সু’দৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মারুফুর রশিদ খান এর কাছে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টির খোঁজ-খবর নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
