parbattanews

পেকুয়ার ভাঙা বেড়িবাঁধগুলো যেকোন মুহূর্তে আবারো বিলিন হওয়ার সম্ভাবনা

পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মাতামুহুরীর বাঘগুজারা রাবার ড্যামের পাশের অংশটি নির্মাণ করার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়ার পূর্বে আবারো পাহাড়ি ঢলের মুখে যায় যায় অবস্থার সৃষ্টি হলে প্লাবন আতংক বিরাজ করছে পেকুয়ার লোকজনের কাছে। টানা ৫ দিনের প্রবল বর্ষণে এখন মাতামুহুরী নদীতে পাহাড়ি ঢলে প্রবল স্রোতে নদী মুখের ওই বেড়িবাধঁ টলমলে তালি জোড়া দিয়ে স্থানীয় লোকজন ঠিকাদারের সাথে একাত্বা হয়ে কাজ করে কোন রকম রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে অর্ধশত গ্রামবাসী সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে কাজে যোগদিয়ে মাতামুহুরীর উপচে পড়া পানি রক্ষা করে বাধেঁর ওপর মাটি দেয়। এখনও লোকজন পাহারা বসিয়েছে যখন বাঁধের কোথাও দেবে যায় সেখানে মাটি দিচ্ছে।

টানা দুমাস জোয়ারভাটার শিকার পেকুয়াবাসী পর পর দুবার বীজতলা তৈরী করে নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও এখনও আশায় বুকবেধে বসে আছে বর্ষার শেষ মৌসুমে আমন চাষাবাদ করবে। এ যাত্রায় আবারো প্লাবনের শিকার হলে সে আশা নি:শেষ হয়ে যাবে তাই লোকজন দল বেধে ভাঙ্গন সম্ভাবনা বেড়িবাঁধ পাহারা দিচ্ছে।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, রাবারড্যাম এলাকার বিধ্বস্ত বেড়িবাধ নির্মাণের জন্যে বড় বাজেট দিলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার অপেক্ষাকৃত কম টেকসই করে কাজ করায় এখনও আতংকে দিন কাটতে হচ্ছে পেকুয়াবাসীকে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী মারুফুর রশিদ খানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, কাজটি পাল্লি উন্নয়ন বোর্ডের হওয়ায় তারা তদারকিও করতে পারছেনা। এর পরও সবাইকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। যাতে যে কোন কিছুর বিনিময়ে বাঁধটি রক্ষা করা যায়।

এদিকে মাতামুহুরীর পাহাড়ি ঢলে পানি পেকুয়া মগনামা বানিয়ারছরা সড়কের কয়েকটি অংশ উপচে পড়ে পেকুয়ায় ঢুকে পড়ছে। বৃষ্টি না কমলে বেড়িবাঁধ না ভাঙ্গলেও পানি পেকুয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যাবে। অতিবৃষ্টির কারণে পেকুয়ার দক্ষিণ পশ্চিমাংশের সিরাদিয়া নন্দীর পাড়া মইয়্যাদিয়া গোয়াখালী সিকাদার পাড়া হরিণাফাঁড়িতে জোয়ারের পানি ১ থেকে ২ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। মাতামুহুরী নদীতে পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় আবারো প্লাবন আতংকে মানুষ হাহুতাশ করছে।

Exit mobile version