parbattanews

পেকুয়ার মগনামায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২৪ জনকে আসামি করে মামলা, আটক ৬

কক্সবাজারের পেকুয়ার মগনামার আলোচিত ব্যবসায়ী জয়নাল হত্যা মামলার আসামি আবু ছৈয়দ (৪০) কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার ঘটনায় ২৪ জনের নাম উল্লেখপূর্বক আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে পেকুয়া থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। যার মামলা নং-০৭।

বুধবার (১১ অক্টোবর) নিহতের ছেলে ছৈয়দ ইমন বাদী হয়ে ওই এলাকার মৃত রুস্তম আলীর ছেলে আলী আকবরকে প্রধান আসামি করে এ মামলাটি রুজু করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৬ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। তারা হলেন- কামাল হোসেনের ছেলে জয়নাল আবেদীন ওরফে জনু, আনোয়ার হোসেনের ছেলে গিয়াস উদ্দিন ওরফে সোনা মিয়া, কামাল হোসেনের ছেলে আরিফ, শাহাব উদ্দিনের ছেলে তৈয়ব, মৃত রুস্তম আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেনের ছেলে মহিউদ্দিন।

এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার মামলা রেকর্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনার মামলায় এজাহারনামীয় ৬ জনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং বাকিদেরও ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শক্রতার জেরে জয়নাল হত্যা মামলার আসামি আবু ছৈয়দ (৪০) কে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। এসময় তার পা কেটে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় আরও ৪ জন আহত হয়।

মঙলবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের আফজলিয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আবু ছৈয়দকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। পথিমধ্যে মারা যায় আবু ছৈয়দ।

আবু ছৈয়দের শ্বাশুড়ি মোবারেকা বেগম বলেন, আবু ছৈয়দ চিংড়ি ঘের থেকে দুপুরে খাবার খেতে তাঁর বাড়িতে আসে। সে আমার বাড়িতে আসার খবর পেয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পাশের একটি বাড়িতে অবস্থান নেয়। বিকেলের দিকে বাড়িতে হানা দেয় তারা। এ সময় ১৫-২০ জনের সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাড়িতে ঢুকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে সে খাটের নিচে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে তাকে টানা হ্যাঁচড়া করে বের করে হাত-পা চেপে ধরে কুপিয়ে ডান পা শরীর থেকে আলাদা করে ফেলে। এসময় কাটা পা নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

২০২১ সালের ২ মে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মগনামায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীনকে। এ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৩নং আসামি ছিলেন আবু ছৈয়দ। জয়নাল হত্যা মামলায় জেল খেটে ছয় মাস আগে জামিনে বের হন আবু ছৈয়দ। জয়নাল হত্যার জেরেই আবু ছৈয়দকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। এ দিকে নিহত আবু সৈয়দের লাশ পেকুয়ার মগনামায় মাগরিবের পর নিয়ে আসা হয়। এশার নামাজের পর জানাজা শেষে আফজলিয়াপাড়া কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।

Exit mobile version