parbattanews

পেকুয়ায় অরক্ষিত বেড়িবাঁধ, ঝুঁকিতে ৩০ হাজার মানুষ

কক্সবাজারের পেকুয়ার রাজাখালীর বদি উদ্দিন পাড়া থেকে নতুন ঘোনা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অরক্ষিত। ওই এলাকায় বান্দরবান পাউবোর আওতাধীন ৮নং পোল্ডারের একটি স্লুইচ গেটের মাটি ধসে বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

জরুরি ভিত্তিতে ভাঙা স্লুইচ গেটে মাটি দ্বারা মেরামত না হলে শতাধিক চিংড়ি ঘের, বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট ডুবে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এছাড়া চরম ভোগান্তিতে পড়বে এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিগত চার বছর পূর্বে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে রাজাখালী ইউনিয়নের বদি উদ্দিন পাড়ার অংশ কুতুবদিয়া চ্যানেলের ভোলা খাল থেকে সুরক্ষিত করা হয়েছে। বেড়িবাঁধের ৮নং স্লুইচগেটটি অন্তত ৬০-৬৫ বছরের পুরানো। চলিত বছর বর্ষার শুরুতে স্লুইসগেটটির মাটি ধসে পড়ে। কয়েকমাস আগে একাধিকবার মাটি ফেলে বেড়িবাঁধ ভাঙন রোধের চেষ্টা করেছিল স্থানীয়রা। কিন্তু স্লুইস গেট দিয়ে পানি চলাচলে বেড়িবাঁধ ফাটল হয়ে স্রোতে মাটি সরে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ নুরুল আবছার, বাদশা, জাহাঙ্গীর আলম, ছমি উল্লাহ, বশির আহামদসহ অনেকে বলেন, মাটি ধসের ফলে ‘স্লুইচ গেটের পাশের চিংড়ি ঘেরসহ লবণ ও ধানি জমিতে চাষ করতে হিমশিম পড়তে হয় স্থানীয় তাদের। জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা না হলে কয়েকদিন পরে পূর্ণিমার জোয়ারে চিংড়ি ঘের ও বসতঘর সবই তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বিদ্যমান।

রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল বলেন, এ বিষয়ে কেউ আমাকে অবগত করেনি। তবে জনস্বার্থে দ্রুত মেরামত করা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অরূপ চক্রবর্তীর যোগাযোগ করা হলে তিনি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

 

Exit mobile version