parbattanews

পেকুয়ায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি,পেকুয়া:

পেকুয়ার উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদের বিরুদ্ধে এক কিশোরী কাজের মেয়ে কে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা নিতে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইব্যূনাল পেকুয়া থানাকে নির্দেশ দিয়েছে। জানা যায়, উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের পেকুয়ার চর এলাকার মৃত গুরা মিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৯আগষ্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যূনাল কক্সবাজারে একই ইউনিয়নের নুরীর পাড়ার মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার মেয়ে মরিয়ম খাতুনকে(১৪) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সি.পি-৮০০/১৪ ইং।

মামলাটি বিচারক সাজেদুল করিম আমলে নিয়ে বাদীর দরখাস্ত ‘দি কোড অব ক্রিমানাল প্রসিডিউর’ এর ১৫৪ ধারা মতে নিয়মিত মামলা রজু করে ১৭৩ ধারা মতে পুলিশী রিপোর্ট দাখিলের জন্যে পেকুয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। এবং ৬৩৭/১৪ ইং স্মারকে আদালত পেকুয়া থানায় প্রেরণ করেন। মামলার একমাত্র আসামী শহিদুল ইসলাম উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি।

মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন, ৭বছর পূর্বে তার শিশু মেয়ে মরিয়ম খাতুনকে অভাব অনটনের দায়ে কাজের মেয়ে হিসেবে চেয়ারম্যান শহিদের বাড়ীতে মাসিক বেতনে দেন। বর্তমানে তার মেয়ে ১৪ বছরের কিশোরী ও চোখে পড়ার মতো হওয়ায় বাড়ীতে নিয়ে আসতে চাইলে বিগত ১বছর যাবত ্তার ঘরে আসতে দিচ্ছেনা। বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে চেয়ারম্যান তার মেয়েকে স্বতীত্বহানির মোখরোচক কথা বার্তা শুনার পর সর্বশেষ ৩ আগষ্ট চকরিয়ার একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে রাত্রিযাপন করার অভিযোগ পেয়ে বাদী চেয়ারম্যানের বসতঘরে গিয়ে না পেয়ে ও খবরাখবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছে চেয়ারম্যান তার অবুজ কিশোরী মেয়েকে ১ বছর যাবত ধর্ষন করছে। আসামী এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় তিনি তার কিশোরী মেয়েকে উদ্ধার করতে পারছেনা। তিনি অসহায়ের মতো থানা পুলিশ ও গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ধারস্থ হয়েও নিরুপায় হয়ে আদালতের আশ্রয় চেয়েছেন।

এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদের বিরুদ্ধে কিশোরী কাজের মেয়েকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের খবরে পুরো উপজেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে চেয়ারম্যান শহিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলা দায়েরের কথা স্বীকার করে বলেন,এটি ষড়যন্ত্র করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই কাজের মেয়ে থেকে জিজ্ঞেস করলেই প্রকৃত ঘটনা জানাযাবে। মামলার বাদী নুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ১বছর ধরে চেয়ারম্যানের পায়ে ধরে তার মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে কান্নাকাটি করেছি। বার বার অপমান করে বের করে দিয়েছে তার মেয়েকে পর্যন্ত এক নজর দেখতে দেয়নি। চেয়ারম্যান একজন আইনের মানুষ হয়েও তার অবুজ ছোট মেয়েকে নষ্ট করেছে আমি এর বিচার চাই।

এব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসে যোগাযোগ করা হলে মামলাটি থানায় এসেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রকিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি থানার বাইরে থাকায় কাগজপত্র তার হাতে পৌছেনি বলে বিস্তারিত জানা যায়নি।

Exit mobile version