parbattanews

পেকুয়ায় এক প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

 

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় এক প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। পেকুয়া থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে। সুরতহাল রিপোর্টসহ ময়না তদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে। ৮ মে সকালে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা পূর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূর নাম জেয়াসমিন আক্তার(২৮)। সে ওই এলাকার প্রবাসী সেলিম উদ্দিন প্রকাশ খোকনের স্ত্রী ও পেকুয়া সদর ইউনিয়নের শেখের কিল্লা ঘোনা এলাকার বজল আহমদের কন্যা। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে শাশুড়ী নমিলা খাতুন বাড়ি থেকে সটকে পড়ে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই দিন সকালে মালয়েশিয়া প্রবাসী সেলিম উদ্দিনের স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তার শাশুড়ী। বসতঘরের খুটির সাথে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

প্রতিবেশীরা জানায়, ওই দিন ওই গৃহবধূর ৫ বছর বয়সী ছেলে শরীফ ও ৪ বছর বয়সী মেয়ে শরীফা আরবী পড়তে পাশ্ববর্তী মক্তবে যায়। মাদ্রাসা ছুটি শেষে তারা বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় মাকে ঘরের দরজা খুলতে চিৎকার করছিল। কিছুক্ষণ দরজা না খুলায় দাদী নমিলা খাতুন পাশ্ববর্তী অপর বাড়ি থেকে ওই স্থানে যায়। এ সময় তারা শোরচিৎকার করে দরজা খুলতে প্রানপন চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে দরজা ভেঙ্গে তারা বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে।

এ সময় ঝুলন্ত অবস্থায় জেয়াসমিন আক্তারের মরদেহ দেখতে পায়। জীবনআরা, মুতাহেরা, হাসান আলী, আবুল কাসেম সহ স্থানীয়রা জানায়, কি কারণে আত্মহত্যা করেছে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্বামী মালয়েশিয়ায় থাকে। শাশুড়ী আলাদা। তবে টাকা পাঠায় শাশুড়ীর কাছে। এ নিয়ে স্বামীর সাথে কলহ ছিল। মুঠোফোনে অনেকবার বাড়াবাড়ি হয়েছে। গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ভিতরে দরজায় হুক লাগানো ছিল।

এদিকে ইয়াসমিন আকতারের মা সাকেরা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে মারধর করে হত্যা করেছে শ্বাশুড়ী ও ভাশুর আলমগীর। এর আগেও তাকে মারধর করা হয়েছে। হত্যার লাশটি আত্মহত্যা চালিয়ে দিতে ঝুলিয়ে দেয়। এ বিষয়ে আমরা আইনের আশ্রয় নিব।

পেকুয়া থানার এসআই বিপুল চন্দ্র রায় জানায়, প্রাথমিকভাবে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। সঠিক কারণ নির্ণয়ে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Exit mobile version