parbattanews

পেকুয়ায় কম্বাইন্ড হারভেস্টার যন্ত্রে ঝুঁকছেন প্রান্তিক চাষিরা

হাতের স্পর্শ ছাড়াই মাঠ থেকে ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াইসহ সর্বশেষ বস্তাভর্তি করতে আধুনিক যন্ত্রের (কম্বাইন্ড হারভেস্টার যন্ত্র) ব্যবহারের দিকেই ঝুঁকছেন কক্সবাজারের পেকুয়ার প্রান্তিক কৃষকেরা।

এই যন্ত্র শ্রমিকের প্রয়োজন না হওয়া ছাড়াও দ্রুততম সময়ে মাঠ থেকে ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে। ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে পাওয়া এই আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারের কারণে বহুমুখী সুবিধা ভোগ করতে পারছেন প্রান্তিক কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষিবিভাগ জানায়, জমি থেকে দ্রুততম সময়ে ধান গোলায় তোলার ক্ষেত্রে দিন দিন কম্বাইন্ড হারভেস্টার যন্ত্রের দিকেই ঝুঁকছেন প্রান্তিক কৃষক। একক বা সম্মিলিতভাবে আধুনিক এই যন্ত্রের ব্যবহার করতে পারছেন তারা। এজন্য সরকার কৃষিখাতে নানারকম প্রণোদনা দেওয়া ছাড়াও দ্রুততম সময়ে ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই এবং বস্তাভর্তি করতে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে প্রণোদনার অংশ হিসেবে আধুনিক এ যন্ত্রও সরবরাহ দিচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ছৈয়দুল আলম জানান, গত তিনবছরে পেকুয়া উপজেলার কৃষকদের জন্য ২টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার যন্ত্র প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি যন্ত্র কেনার বিপরীতে সরকার ৭০ শতাংশ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। বাকি ৩০ শতাংশ টাকা উপকারভোগী কৃষক বহন করছে।

তিনি আরো জানান, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে উপকারভোগী হিসেবে আধুনিক এই যন্ত্র বরাদ্দ পেয়েছেন শীলখালী হাজীর ঘোনা মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে নুরুল আলম, মগনামা সিকদাপাড়ার ছমুদুল করিমের ছেলে খালেদ বিন ছমদ। কৃষকদের ধান জমি থেকে গোলায় তোলার ক্ষেত্রে এই দুই কৃষক ছাড়াও আশেপাশের কৃষকেরা আধুনিক এই যন্ত্রের ব্যবহার করবেন।

সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে ৩০ অক্টোবর (রবিবার) সকালে কম্বাইন্ড হারভেস্টার যন্ত্র আনুষ্ঠানিকভাবে কৃষকের হাতে হস্তান্তর করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তপন কুমার চৌধুরী।

Exit mobile version