parbattanews

পেকুয়ায় কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টায় তোলপাড়

অপহরণ

এ এম.জুবাইদ, পেকুয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লাঘোনা এলাকার নুরুল ইসলাম প্রকাশ নুরুর মেয়ে পেকুয়া শহীদ জিয়া বি এম আই’র প্রথম বর্ষের ছাত্রী কাজল প্রতিদিনের ন্যায় বাসা থেকে রিক্সা করে কলেজ যাওয়ার সময় কলেজের সামনে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া এলাকার গোলাম সোলতানের পুত্র চট্টগ্রাম প্রিমিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মহিউদ্দিন ওই কলেজ ছাত্রীকে রিক্সা থেকে নামতে না দিয়ে জোরপূর্বক ভাবে রিক্সা যোগে এ বি সি আঞ্চলিক মহাসড়কের দক্ষিণ দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সামনে পৌছলে ওই কলেজ ছাত্রী জোরে চিৎকার দেয়। এ সময় কলেজের ছাত্ররা ও লোকজন এগিয়ে এসে রিক্সার গতিরোধ করে কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং ওই অপহরণকারী যুবককে আটক করে কলেজে নিয়ে যায়।

কলেজ কৃর্তপক্ষ অপহরণকারী যুবককে কলেজে অনেকক্ষণ আটক রাখে। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষের অভিভাবকদের খবর দেয়। উভয় পক্ষের অভিভাবকরা কলেজে উপস্থিতে হলে কলেজের অধ্যক্ষ এ এম ফরিদুল আলম চৌধূরী ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে। পরে এ ধরণের ঘটনা না করার জন্য ওই যুবক মহিউদ্দিনের কাছ থেকে একটি মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। বি এম কলেজের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা জানান, ওই যুবক মহিউদ্দিনের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে কলেজ ছাত্রী কাজলের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। সেই সূত্রধরে কাজল গত ৪ সেপ্টেম্বর কলেজে আসার সময় ফোনে কথা বলে প্রেমিক মহিউদ্দিনকে চৌমুহুনীতে আসতে বলে এবং দুইজনে একরিক্সা যোগে কলেজ পর্যন্ত আসে। পরে প্রেমিক মহিউদ্দিনের সাথে বেড়াতে যাওয়ার জন্য এ বি সি আঞ্চলিক মহাসড়কের হাসপাতাল পর্যন্ত গেলে কলেজ ছাত্রী কাজল হৈচৈ শুরু করলে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে পুরো এলাকা ও কলেজে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে শহীদ জিয়া বি এম আই’র অধ্যক্ষ এ এম ফরিদুল আলম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এ প্রতিবেদক কে জানান, উভয় পক্ষের অভিভাবকদের মধ্যে সমঝোতা করে এ ধরণের ঘটনা না করার জন্য ওই যুবকের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Exit mobile version