parbattanews

পেকুয়ায় কার্পেটিং কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে এবিসি সড়কের ১৮কি.মি

index

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

পেকুয়ায় কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে আঞ্চলিক মহাসড়ক (এবিসি সড়কের)। কার্পেটিং দ্বারা কাজের রি-টেন্ডার কাজ সম্প্রসারন চলছে পেকুয়ার আঞ্চলিক মহাসড়কে। সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ ওই কাজ বাস্তবায়ন করছেন। চট্টগ্রাম টু কক্সবাজার এবিসি সড়কের পেকুয়া উপজেলার টইটং-বাঁশখালী সীমান্ত ব্রীজ থেকে সড়কের আটার কি.মিটার চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের লাল ব্রীজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন কাজ এগিয়ে চলছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদের এমপি গত ১৭ জানুয়ারীতে পেকুয়া সফরে আসেন। উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মুক্তিযুদ্ধা প্রয়াত আ.ক.ম শাহাব উদ্দিন ফরায়েজীর পরিবারের খোঁজ খবর নিতে ওইদিন মন্ত্রী টইটংয়ের সোনাইছড়ি এলাকায় ফরায়েজীর বাসভবনে যান। এ সময় সড়ক পথে তিনি এবিসি সড়ক হয়ে কক্সবাজারে যান। এবিসি সড়কের খানা-খন্দক প্রত্যক্ষ করেন মন্ত্রী। এরপর ওই সড়ক সংস্কারের নির্দেশ দেন সড়ক ও জনপদ বিভাগকে।

জানা গেছে, সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (একনেক) এবিসি সড়ক পুনঃসংস্কারের জন্য প্রায় সাড়ে ১৩কোটি টাকা বরাদ্ধ দেন। এরই ভিত্তিতে আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ১৮কি.মিটার জুড়ে সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

আর্ন্তজাতিক মানের ঠিকাদারি প্রতিষ্টান ম্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লি.সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করছেন। চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে এবিসি সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ভাগ কাজ অগ্রগামী হয়েছে। টইটংয়ের সীমান্ত ব্রীজ থেকে শুরু হয়ে বর্তমানে বারবাকিয়া ও পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ব্রীজ ভোলাখাল পয়েন্ট পর্যান্ত প্রায় সাত কি.মিটার সমাপ্ত হয়েছে।

সড়কের খানা-খন্দক অংশে টেকসই নির্মান প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে সওজ বিভাগ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্টান এ স্থানে ম্যাকাডমসহ পিচ ঢালাই করছেন। যেসব স্থানে পিচ ও বিটুমিন নিঃসরিত হয়েছে সেখানে দেয়া হচ্ছে প্রায় দু’ইঞ্চি পিচ। ঠিকাদারি প্রতিষ্টান অধিকতর কাজ বাস্তবায়নের জন্য ওই সড়কের পাথর এনেছেন ভিয়েতনাম ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। তিন ক্যাটাগরির উন্নত মানের পাথরের সংমিশ্রনে সড়ক কার্পেটিং কাজ চালানো হচ্ছে। টেকসই ও কনফেকশনের জন্য আনা হয়েছে অত্যাধুনিক ও স্বয়নক্রিয় যন্ত্র। প্রতিদিন প্রায় শতাধিক শ্রমিক বাস্তবায়ন কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।

সুত্র জানায়, সড়ক সংস্কারের জন্য ব্যবহৃত পাথরগুলো মান নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। বুয়েটের পরীক্ষাগারে এসব পাথরের পরীক্ষা করা হয়েছে। বুয়েট স্বীকৃতি দেওয়ার পর সড়কে দেওয়া হচ্ছে এসব পাথর।এ ব্যাপারে ম্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং’এর প্রকৌশলী(এজিএম) ইমরুল শাহেদ জানান, কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আশা করছি চলতি বছরের জুনের মধ্যে ১৮কিলোমিটার এবিসি সড়কের কাজ শেষ হবে।

প্রকল্প তদারকি কর্মকর্তা প্রকৌশলী ফরিদ আলম জানিয়েছেন, কাজের মান নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে সুচারুরুপে। সওজ বিভাগ সার্বক্ষনিক কাজ তদারকি করছেন। সড়ককে দু’ভাগে বিভক্ত করে দু’অংশ দিয়ে সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে দ্রুত গতিতে।

Exit mobile version