parbattanews

পেকুয়ায় কোটি টাকার বেড়িবাঁধে অবৈধ নাশি, ফাটলের কারণে ঝুঁকিতে ৫০ হাজার পরিবার

কক্সবাজারের পেকুয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর মালিকানাধীন কোটি টাকার বেড়িবাঁধ কেটে চিংড়ি ঘেরের জন্য অবৈধভাবে নাশি বসানোর অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। ফলে বেড়িবাঁধে ধস ও ফাটল দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে চরম ঝুঁকিতে দিনাপাত করছে মগনামা ও উজানটিয়া ইউনিয়নের ৫০ হাজার পরিবার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ঘোষাল পাড়ার পশ্চিমে পাউবোর ৫৪নং স্লুইসগেটের সাথে লাগোয়া ২০ ফুটের মধ্যে বসানো হয়েছে এ নাশিটি। বিগত ৫/৬ মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশে মৌখিক অনুমতি নিয়ে অবৈধভাবে বেড়িবাঁধ কেটে কালভার্ট (নাশি) নির্মাণ করেছেন একই ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে ওয়াজ উদ্দিন, বাদশা, আব্দুল খালেক। একই সাথে সরকারি স্লুইসগেটের সামনে রিং বাঁধ দিয়ে পানি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে এ সিন্ডিকেট। কাভারিং ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণভাবে এ কালভার্ট (নাশি) তৈরি করায় একপাশে ১৫ ফুট করে ৩০ ফুট বেড়িবাঁধে বড় আকারে ফাটল ও ধসে পড়েছে। এ বেড়িবাঁধ বঙ্গোপসাগরের সাথে লাগোয়া হওয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

স্থানীয় আবুল হোছাইন, রাশেদ, সাইফুল, জামাল উদ্দীন, আলম বলেছেন, ৫৪নং স্লুইসগেট থাকার পরও পাউবোর দুর্নীতিবাজ কয়েক কর্তাকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে বেড়িবাঁধ কেটে কালভার্ট (নাশি) বসিয়েছেন। ৫৪নং স্লুইসগেটের সামনে বাধঁ দিয়ে পানি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। লাগাতার এক সপ্তাহ বৃষ্টি হলে এ বেড়িবাঁধ ধ্বংস হয়ে যাবে। শুধু এ অবৈধ কালভার্টের কারণে দুর্যোগের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত সময়ে এ অবৈধ কালভার্ট (নাশি) সরিয়ে বেড়িবাঁধ মেরামত না করলে উজানটিয়া-মগনামায় বসবাসরত বাসিন্দারা পানির নিচে তলিয়ে যাবে।

এদিকে ওয়াজ উদ্দিনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৫/৬ মাস আগে পাউবোর বান্দরবান অফিসের অনুমতি নিয়ে বসিয়েছি। মাছের প্রজেক্ট থেকে প্রতি মাসে খরচ পাঠাই অফিসে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিম জানান, বেড়িবাঁধ কেটে কেউ অবৈধ নাশি বসালে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অরুপ চক্রবর্তী বলেন”, কালভার্ট (নাশি) আগে হয়েছে, যেটা ধসে গেছে সেটা মেরামতের জন্য ব্যবস্থা করব”।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর বলেন,”আমি এখনো জানি না, মেসেজটি বান্দারবান অফিসকে পাঠিয়েছি, তাঁরা বলার পর বলতে পারব “।

এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা বলেন, “পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলে দিয়েছি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য, প্রয়োজনে আমি সহ যাব”।

Exit mobile version