পেকুয়ায় গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যা

fec-image

কক্সবাজারের পেকুয়ায় পারভিন আক্তার (৩৫) নামের এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের গুদারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত পারভিন আক্তার ওই এলাকার কায়েস উদ্দিনের স্ত্রী। পারভিন আক্তার দুই সন্তানের জননী।

রবিবার (১০ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে রাতে স্থানীয়রা তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের তানজুক কাটা এলাকার কবির আহমদের মেয়ে পারভিন আক্তারের সাথে উজানটিয়া ইউনিয়নের পেকুয়া উপজেলার গুদারপাড়া এলাকার জয়নাল আবেদীনের পুত্র কায়েস উদ্দিনের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

পারভিন আক্তারের পিতা কবির আহমদ, বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম জানায়, জামাই কায়েস উদ্দিন একজন জুয়াডি ও নেশাখোর। জুয়া খেলা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। জুয়ায় সহায় সম্বল হারিয়েছে। যৌতুকের জন্য প্রায় সময় মারধর করত কায়েস। রাতে কায়েস, ভাসুর আনোয়ার হোসেন ও শ্বাশুড়ি মাহফুজা বেগম মিলে পারভিনকে নিষ্ঠুরভাবে পেটায়। বর্বর নির্যাতন চালায় তার উপর। পিপাসায় ছটফট করলেও তাকে পানি দেয়নি।

তারা আরও জানায়, এর আগেও তারা কয়েক দফা নির্যাতন চালায় পারভিনের উপর। কুপিয়ে মারাত্নক জখম করেছে কয়েকবার। একজন গাড়ি চালক স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনের কথা মুঠোফোনে আমাদেরকে জানায়। তাকে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে।

কায়েসের সৎভাই মফিজ উদ্দিন জানায়, নির্যাতনে মেয়েটিকে মেরে ফেলা হয়েছে। কায়েস আমার ভাই হলেও সে নিষ্ঠুর প্রকৃতির। মাদক ও জুয়ায় আসক্ত। পারভিনকে প্রায় সময় মারধর করত। এদিকে ওই ঘটনায় গা ঢাকা দিয়েছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ঘটনার পরপরই তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। পারভিন আক্তারের আরফিন (৭) ও রাইজু (৫) নামের দুইজন কন্যা রয়েছে।

পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) কানন সরকার জানায়, লাশ এখনো হাসপাতালে। শুনেছি বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। রিপোর্ট পেলে জানা যাবে আসল মৃত্যুর কারণ।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পেকুয়া, বিষপান
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন