পেকুয়ায় গৃৃৃহবধূ খুনের মামলা নিতে অনিহা, অবশেষে আদালতে মামলা

পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় শশুর বাড়ির লোকজনের নির্মম নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ খুনের ঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে অবশেষে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা হয়েছে। যার মামলা নং ৬৮২ তারিখ ১৭/০৮/১৫ইং।

পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকদের নির্মম নির্যাতন পর ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৮টায় ওড়না পেঁচিয়ে স্বাস রুদ্ধ করে হত্যার দাবী করেছে নিহত গৃহবধূ জাইতুনের পরিবার।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বারবাকিয়া ইউনিয়নের ফাঁশিয়াখালী সবজিবন পাড়া এলাকার শাহ আলমের পুত্র নেজাম উদ্দিন(৩০)এর সাথে গত ৩ মাস পূর্বে টইটং ৩নং ওয়ার্ড এলাকার ইউছুপ আলীর কন্যা জাইতুন মোস্তফার ইসলামী শরিায়াহ মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের কয়েকদিন যেতে না যেতেই তাদের দাম্পত্য জীবনে নেমে আসে পারবারিক কলহ।

ঘটনার দিন সকালে নিহত জাইতুনের শশুর বাড়ির এক প্রতিবেশী মোবাইল করে জানায়, বাদীর মেয়েকে হত্যা করে খাটের উপর শোয়া অবস্থায় রেখেছে। পরে নিহতের আত্বীয়-স্বজন গিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার পূর্বক সুরত হাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করছে যে, নিহত গৃহবধূর লাশ স্বামীর কাছে বুঝাইয়া দেওয়ার কথা বলে একটি সাদা কাগজে নিহতের পিতা ইউছুপ আলীর টিপ সই নেয় থানা পুলিশ। পরে ওই কাগজের উপর ভিত্তি করে পেকুয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। যার মামলা নং ১৩/১৫ইং। অপমৃত্যু মামলার সাথে নিহতের সুরত হাল রিপোর্ট প্রেরণনের নিয়ম থাকিলেও পেকুয়া থানা পুলিশ ওই অপমৃত্যুর মামলার সাথে সুরতহাল রিপোর্ট রহস্যজনক কারণে প্রেরণ করে নাই এমনি অভিযোগ তুলেছেন নিহতের পরিবার।

এদিকে গত ৯ আগস্ট মা বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তার কোন প্রতিকার না পাওয়ায় চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আশ্রয় নেয় নিহতের মা। গত ৬ আগস্ট স্বাস রোধ করে গৃহবধূ জাইতুন খুনের ঘটনায় নিহত গৃহবধূর মা ছেনুয়ারা বেগম বাদী হয়ে স্বামী, শশুর সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অবশেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দয়ের করেছেন। আদালত মামলা টি আমলে নিয়ে পেকুয়া থানা ওসি বরাবরে প্রেরণ করেন।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলার কথা স্বীকার করে বলেন, হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত করে বলতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে। তবে এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন