parbattanews

পেকুয়ায় চাঁদা না দেয়ায় শিক্ষকের জমিতে টংঘর নির্মাণ

পেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষকের ভোগদখলীয় জমিতে টংঘর নির্মাণ করেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। এ ঘটনায় ওই শিক্ষক বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। রবিবার (২১মে) টইটং ইউনিয়নের রমিজ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভোক্তভূগী শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, আমার খরিদীয় টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি মৌজার বিএস খতিয়ান- ১৪৫, বিএস ১৩৩১ নং দাগের ৩০ শতক জমি দীর্ঘদিন ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু সম্প্রতি প্রভাবশালী কুচক্রী মহলের ইন্ধনে স্থানীয় একটি ভূমিদস্যু পক্ষ ওই জমিতে আমার ৩০ বছর পূর্বের সৃজিত বাগানের বিভিন্ন জাতের গাছ কেটে লুট করে নিয়ে যায়। পরে তারা বেশ কয়েকবার এ জমি জবর দখল চেষ্টা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার সকালে ওই জমিতে টংঘর নির্মাণ করে। মূলত একই ইউনিয়নের মৌলভী পাড়ার মৃত দুলা মিয়ার পুত্র ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ আমির হোসেন, একই চক্রের সদস্য মৃত বাদশা মিয়ার পুত্র আহমদ কবির, মৃত পুতন আলীর পুত্র জমির হোসেন, মৃত টুনু মিয়ার পুত্র বেলাল উদ্দীন, জমির হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম সহ একটি বিশাল চক্র আমার কাছ থেকে মোটাংকের চাঁদা দাবি করে আসছিল। কিন্তু আমি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আমার ওই জমি ও বসত ভিটে দখলের হুমকি দিয়ে আসছিল।

তিনি আরো বলেন, এর জের ধরে ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ চক্রটি একাধিক বার ওই জমি ও আমার বসত ভিটে দখল চেষ্টা চালায়। এসব ঘটনায় একাধিক অভিযোগ থানায়, টইটং ইউনিয়ন পরিষদ ও পেকুয়া নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে রয়েছে। এসব অভিযোগ ও মামলা সুরাহা হবার আগে তারা আমার ও আমার স্ত্রীর উপর হামলা চেষ্টা চালায়। জমিতে টংঘর নির্মাণ করেছে। এমনকি আমার বসত ভিটে দখলের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আমি এব্যাপারে প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

Exit mobile version