parbattanews

পেকুয়ায় তিন মাসেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্র মিজানের

pic mizan

পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় তিন মাসেও নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্র মিজানের সন্ধান মেলেনি। ফলে পরিবারে চরম উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।

জানা যায়, গত ২০১৬ সালের ১৭ অক্টোবর সকাল ৮টায় উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালী এলাকার ফজলুল করিমের পুত্র ও পেকুয়া আশরাফুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র মোহাম্মদ মিজান(১০) ওই দিন মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। মাদ্রাসা ছুটি হয়ে গেলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত সে বাড়িতে আর ফিরে আসেনি।

মাদ্রাসা ছাত্র মিজান বাড়িতে ফিরে না আসায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখোজি শুরু করেন মা-বাবা ও তার পরিবারের সদস্যরা। খোঁজ না পাওয়ায় ছেলের সন্ধ্যানের জন্য থানা পুলিশের আশ্রয় নেন। পরে পুলিশও খোঁজা শুরু করে। কিন্তু দীর্ঘ তিন মাস অতিবাহিত হলেও তাদের আদরের ছেলের সন্ধান না পাওয়ায় মুহ্যমান মা বাবা খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। সারা দিন পাগলের মত এ দিক ওদিক ছোটাছুটি করছেন ছেলের সন্ধ্যানে।

গত ১৭ জানুয়ারি নিখোঁজ হওয়ার তিন মাস পূর্ণ হলেও ছেলের সন্ধ্যান পায়নি মা বাবা। তিন মাস পূর্ণ হলে ছেলে খোঁজ পাওয়ার আশা ছাড়েনি। তাদের আশা, তাদের আদরের সন্তান মিজান এখনও জীবিত আছে। কোন অপহরণকারীর হাতে আটকে আছে।

স্থানীয়রা জানান, ছোট ছেলে মিজানের সাথে কারো দুষমনী নেই হয়তো অপহরণকারী চক্রের খপ্পরে পড়েছে।

নিখোঁজ মিজানের বাবা ফজলুল করিম জানান, তার ছেলে গত বছরের ১৭ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। তার সন্ধ্যান পেতে আত্মীয়স্বজন সহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুজি করা হয়েছে। কিন্তু কোথাও তার সন্ধ্যান না পাওয়ায় থানায় জিডি করা হয়। মিজানের পরনে একটি সবুজ গেঞ্জি, একটি লুঙ্গি ও একজাড়া সেন্ডেল ছিল। তার উচ্চতা চার ফুট দুই ইন্ধি ও গায়ের রং ফর্সা। কোন সদয়বান ব্যক্তি তার ছেলের উপযুক্ত সন্ধান দিতে পারলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কৃত করা হবে। কোন সদয়বান ব্যক্তি তার ছেলের সন্ধ্যান পেলে ০১৭৮১১৬১৩৭৭, ০১৮৬৫৩৪৬৭২২, ০১৮৫৯৬১৭৫৭৫ নম্বারে জানানোর অনুরোধ জানান তিনি।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুইয়া জানান, প্রত্যেক থানায় ছবিসহ তারবার্তা ও মেইল পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ছেলেটির সন্ধ্যানে থানায় জিডি নিয়েছে। থানা পুলিশ তাকে খোজে বের করার চেষ্টা করছে।

Exit mobile version