parbattanews

পেকুয়ায় দায়সাড়া ভাবে বসতি উচ্ছেদ অভিযান বন বিভাগের

পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় দায়সাড়াভাবে অবৈধ বসতি উচ্ছেদ অভিযান করেছে বন বিভাগ। ৮ এপ্রিল ১১ টায় থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুল বুনিয়া ২০০৩-০৪ সালের বনায়নে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।

চট্টগ্রাম বন বিভাগের অধিন পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া রেঞ্জের শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া এলাকার ২০০৪ সালের সামাজিক বনায়নে কিছু সংঘবদ্ধ অসাধু লোকজন অবৈধ বসতি গড়ে তোলে। এ সংক্রান্ত অভিযোগে ওই দিন সকাল ১১ টায় বারবাকিয়া রেঞ্জ অফিসার উত্তম কুমার পালের নেতৃত্বে টইটং বারবাকিয়া ও পহরচাঁদা বনবিট সেখানে অভিযান চালিয়ে ৩টি শক্ত মাটির গুদাম, ২টি টিনের ছাউনি ও ২টি অস্থায়ী ভাবে নির্মিত অবৈধ বসতি গুড়িয়ে দেয়।

এদিকে বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ তুলেছেন উচ্ছেদ হওয়া লোকজন। তাদের অভিযোগ বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা দায়সাড়া ভাবে লোক দেখানো বান করে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। ওই এলাকায় আরো অবৈধ বসতি রয়েছে। এসব অবৈধ বসতি থেকে ওই বন কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত টাকা হাতিয়ে নেয়। যারা টাকা দেয় না তাদের গুলো অবৈধ হয়ে যায়। আর টাকা দিলে বৈধ হয়ে যায়। ওই কর্মকর্তারা প্রতিদিন সামাজিক বনায়নের গাছ বিক্রয় করে গাছ ক্রেতাদের কাছ থেকে মাসিক মাসোহারা নিয়ে সামাজিক বনায়নের ছোট ছোট গাছ নিধন করার সুযোগ দিচ্ছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে সম্প্রতি পেকুয়া বাজারের এক গাছের ব্যবসায়ী থেকে উত্তম কুমার পাল লক্ষ টাকার বিনিময়ে বনায়নের গাছ পাচার করার সুযোগ দিয়েছে।

এ ব্যাপারে বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা উত্তম কুমার পালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উচ্ছেদের কথা স্বীকার করেন। উচ্ছেদ হওয়া লোকজনের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন বনায়নের জায়গায় কাউকে অবৈধ স্থাপনা নিমার্ণ করতে দেওয়া হবে না। গাছ ব্যবসায়ী থেকে টাকা নিয়ে গাছ পাচারের কথা জানতে চাইলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

Exit mobile version