পেকুয়ায় দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় জায়গা জবর দখলের অভিযোগ

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় জায়গা জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালী গং এর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগি জবর দখলকারীদের কাছ থেকে জায়গা উচ্ছেদ ও এর প্রতিকার চেয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পেকুয়া থানা পুলিশের কাছে তা হস্তান্তর হলে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জমি বন্তোবস্তি মামলা ১৩২৮/৭৭-৭৮ইং মূলে পেকুয়া মৌজায় ৩ একর জায়গা প্রাপ্ত মালিক নুর আহমদ ও মৌলানা আমির হামজা নামের দু’ব্যক্তি। পরে তাদের ওয়ারিশগন থেকে জমাবন্দি বন্তোবস্তি খতিয়ান নং ১১৩৭ এর আন্দর দুই দাগে ওই ৩ একর জমি ক্রয় করেন সদর ইউনিয়নের শেখের কিল¬া ঘোনার হাজ্বি নাগু মিয়ার পুত্র প্রবাসী সামশুল আলম। সে থেকে ওই জায়গা প্রবাসী সামশুল আলমের ভগ্নিপতি জামাল হোসেনকে কার্যকারক নিয়োগ করে ভোগদখলে ছিল।

কিছু দিন আগে ওই জায়গার উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে সদর ইউনিয়নের হরিণাপাড়ি এলাকার শখির আলমের পুত্র আবদুল জলিল গংয়ের। এরই ধারাবাহিকতায় আবদুল জলিল, কাউসার বেগম, লাইলা বেগম, আবদুর রহিম, শফিকা বেগম ও শখির আলম দলবল নিয়ে ওই জায়গা জবর দখলে নিতে একটি টংঘর তৈরি করে। পরে বিষয়টি সামশুল আলমের পক্ষে তার ভগ্নিপতি জামাল হোসেন বাদী হয়ে পেকুয়া ইউপির গ্রাম আদালতে একটি মামলা করে। যার মামলা নং ৫১৩/১৩ইং। ইউপির গ্রাম আদালত সরোজমিন তদন্ত ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সামশুল আলম এর পক্ষে রায় প্রদান করে আবদুল জলিল গংকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।

কিন্তু তারা তা অমান্য করে আরো জায়গা দখলে নিতে চেষ্টা করলে জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যার স্বারক নং ৭৩৬৮। পুলিশ সুপার বিষয়টি পেকুয়া থানাকে সরোজমিন তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করলে পেকুয়া থানার এএসআই নাসির উদ্দিন ঘটনার তদন্ত করেন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে পুলিশ সুপার বরাবর তদন্ত প্রতিবেদনও সামশুল আলমের পক্ষ দাখিল করেন। যার স্বারক নং ৪০৪১।

সামশুল আলমের কার্যকারক জামাল হোসেন অভিযোগ করে জানান, গ্রাম আদালত ও পুলিশ সুপার মহোদয়ের বরাবর লিখিত অভিযোগ আমাদের পক্ষ যাওয়ায় আবদুল জলিল গং আমাদের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্রে মেতেছে। তারা ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিবে বলেও প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। আমরা এ নিয়ে চরম শঙ্কিত রয়েছি। বিষয়টি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন