parbattanews

পেকুয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ : গুলিবিদ্ধসহ আহত ৪

কক্সবাজারের পেকুয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এ সময় প্রতিপক্ষের ছোঁড়া গুলিতে স্বামী-স্ত্রীসহ ৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩ জনই মহিলা। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ স্বামী-স্ত্রীকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। রবিবার (১০ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্লাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত হলেন, ওই এলাকার আবুল হোসাইনের ছেলে আবদু ছালাম (৩৮), তার স্ত্রী রওশন আরা আক্তার (৩৬), মীর আহমদের স্ত্রী হামিদা বেগম (৩৮), সাজ্জাদ হোসাইনের স্ত্রী ইয়াসমিন সোলতানা (১৯)। এদের মধ্যে আবদু ছালামের পায়ে গুলি লাগে। তার স্ত্রী রওশন আরা আক্তারের ডান হাতের বাহুতে ও বুকে ছোঁড়া গুলি লাগে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্র জানায়, বসতভিটার জায়গা বিক্রি নিয়ে জালাল আহমদের পুত্র মীর আহমদ ও তার ভাইয়ের ছেলে আরিফের মধ্যে বনিবনা চলছিল। আবদু ছালামসহ আরও বেশ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি চাচা-ভাতিজার বিরোধ নিস্পত্তির জন্য বৈঠক করেন। বৈঠকে আরিফের চাচা মীর আহমদকে জায়গাটি বুঝিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৫ দিন আগে আরিফ সালিশকার আবদু ছালামকে কিল, ঘুষি মারে। ঘটনার দিন দুপুরে একই সুত্র ধরে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।

এ সময় আরিফ ও তার পক্ষের রাজা মিয়ার ছেলে হাসান, মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জালাল, ছৈয়দ আলমের ছেলে মিয়া, মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে সাহাব উদ্দিন, তার ভাই নজরুলসহ ৮/১০ জনের দুবৃর্ত্তরা আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় তৈরি ধারালো কিরিচ, লোহার রড নিয়ে আবদু ছালামের উপর হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শী নাজেম উদ্দিন জানান, মূলত আবদু ছালামকে মাঠে যাওয়ার সময় পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে। তারা ৫/৭ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। আবদু ছালামকে গুলিবিদ্ধ করে এরপর রক্তাক্ত জখম করা হয়। তার দুটি হাতের বাহু ও দুটি পা গুলি লাগে। তার স্ত্রী রওশন আরাও গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

মীর আহমদ নামক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আমার স্ত্রীকেও জখম করে। তারা গুলি মেরে আতংক ছড়িয়ে দেয়। হামিদ, মো: হারুণসহ আরও অনেকে জানান, তারা একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির ইন্দনে এলাকায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কোদাইল্লাদিয়াসহ মগনামায় অস্ত্রধারী সক্রিয় গ্রুপ রয়েছে। ওই গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ করেন একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তার ক্যাডাররা গুলি ছোঁড়াতে এতবড় দু:সাহস দেখিয়েছে।

জখমী ইয়াসমিন সোলতানা জানান, আমাকে কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আবদু ছালাম ও তার স্ত্রীকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে। কুপিয়ে জখমও করা হয়। মগনামার আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীও ওদের নিয়ন্ত্রণে।

পেকুয়া হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা মিনহাজুল হক জানান, আবদু ছালামের অবস্থা গুরুতর।

পেকুয়া থানার ওসি সাইফুর রহমান মজুমদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি। আগে চিকিৎসা নিক। আইনগত সহায়তা দেওয়া হবে আহতদের।

Exit mobile version