parbattanews

পেকুয়ায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সংস্কার হচ্ছে এবিসি সড়ক

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে আঞ্চলিক মহাসড়ক (এবিসি সড়ক)। পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের বাঁশখালী সিমান্ত ব্রিজ থেকে প্রায় ১৮কি.মি. চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের লাল ব্রিজ পর্যন্ত সংস্কার কাজ চলছে।

এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এবিসি সড়কের সংস্কার কাজে পেকুয়ার সদর ইউনিয়নের সিকদারপাড়া থেকে বাঘগুজারা সিমান্ত ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৪কি.মি. কাজে ব্যাপক অনিয়ম চলছে। সংশ্লিষ্ট ম্যক ইঞ্জিনিয়ারিং লি. ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংস্কার কাজে চরম অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে। পেকুয়া সদর ইউনিয়নের নন্দীরপাড়া, বাজারপাড়া, হরিনাফাড়ি ও সিকদারপাড়া এলাকার স্থানীয়রা জানিয়েছেন সড়ক সংস্কারে সড়কের বিপুল অংশে খানাখন্দকে ম্যাকাডমে দেয়া হচ্ছে নিম্নমানের ইটের খোয়া।

সূত্র জানিয়েছেন, সড়ক সংস্কারে কার্পেটিংয়ে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত চোলায় পাথর ও সিলেটি বালি ব্যবহারের কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসবের পরিবর্তে ব্যবহার করছেন স্থানীয় পাথর ও পাহাড়ি বালি। ইটের কংকরগুলো খুবই নিম্নমানের। অধিকাংশ ইট ধোয়াশা হয়ে গেছে। মাটি মিশ্রিত খোয়াগুলো খুবই নিম্নমানের হওয়ায় সেগুলো হাতে চাপ দিলে মিশে যায়।

অপরদিকে কার্পেটিংয়ে বিটুমিন দেয়া হচ্ছে ময়লাযুক্ত করে। ১ম ধাপে সড়ক পরিষ্কার না করে সরবরাহ দেয়া হচ্ছে তৈয়লাক্ত বিটুমিন। ফলে কাদাযুক্ত মাটিসহ বিটুমিন সরে যাচ্ছে সড়ক থেকে। এজিং তৈরিতেও নিম্নমানের ইট ব্যবহৃত হচ্ছে এবিসি সড়কে।

এদিকে বুধবার নন্দীরপাড়া চৌমুহনী পয়েন্টে নিম্নমান সামগ্রী দিয়ে সড়ক সংস্কার হওয়ায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ মুখর হয়েছে। তারা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এ অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাজ স্থগিত রাখার দাবি করেছেন এলাকাবাসী। সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) ওই কাজ বাস্তবায়ন করছেন বলে জানা যায়।

জানা গেছে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (একনেক) এবিসি সড়ক পুনঃসংস্কারের জন্য প্রায় সাড়ে ১৩কোটি টাকা বরাদ্ধ দেন। এরই ভিত্তিতে আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ১৮কি.মি. জুড়ে সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

প্রকল্প তদারকি কর্মকর্তা প্রকৌশলী ফরিদ আলম জানিয়েছেন, কাজের মান নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে সুচারুরুপে। সওজ বিভাগ সার্বক্ষণিক কাজ তদারকি করছেন। কোন ধরনের অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।

Exit mobile version