পেকুয়ায় নির্বাচনের ২ দিন পর খোঁজ মিললো খালি ব্যালেট পেপার

fec-image

কক্সবাজারের পেকুয়ায় তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হযেছিল গত ২৮শে নভেম্বর।গত মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় নির্বাচনের ২ দিন পর খালি ব্যালেট পেপারের খোঁজ মেলে মধ্যম উজানটিয়া ভেলুয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আলমিরায়। এ স্কুলটি ওই ইউপি নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহমদ হোসেন বলেন, সকালে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী আসলে আমি অফিস খুলে দিয়েছি।বিদ্যালয় কক্ষ গুলো পরিষ্কার করার সময় অফিসের স্টিলের আলমিরা খুলে দেখি কতগুলো নির্বাচনি ব্যালেট পেপার।

এ সময় বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির এক সদস্য অফিসে প্রবেশ করলে সে ব্যালেট পেপার গুলো দেখতে পায়। তখন সে বিভিন্ন জনকে মোবাইলে সংবাদ দেন। এর কিছুক্ষণ পর দেখি সাংবাদিকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়।

ঐ ওয়ার্ডে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধি এক প্রার্থী বলেন, আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সব কেন্দ্রে অর্থাৎ ৯ টিই কেন্দ্রেই ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও ব্যালেট জালিয়াতি হয়েছে। এই রকম নির্বাচন আমরা কোন ভাবে মেনে নিতে পারছিনা। আমরা এই ভোট পুনঃগণনা ও যাচাই বাচাইয়ের দাবি জানাছি।

মেম্বার প্রার্থী জিয়াউল হক সিকদার বলেন, আমার ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রে কারচুপি হয়েছে। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ফুটবল প্রতীকের জমির উদ্দিনের সাথে আঁতাত করে ভোট কেন্দ্রে আমার কর্মীদেরকে ভোট দিতে বাঁধা গ্রস্ত করেছে। নির্বাচনে কালো টাকার কাছে বিক্রি হয়েছে প্রিজাইডিং অফিসার মহেশখালী আলমগীর ফরিদ টেকনিক্যাল বিএম কলেজের প্রভাষক মো. বেলাল হোছাইন।

উজানটিয়ার নৌকার মনোনীত প্রার্থী শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভোটের আগে আমি ঐ সমর্থিত সংবাদ পেয়েছিলাম কিছু ব্যালেট পেপার রাতে প্রিজাইডিং এর হাতে পৌঁছাবে। এনিয়ে উজানটিয়া এলাকার এক সাংবাদিক, প্রতিদ্বন্ধি চশমা প্রতীকের প্রার্থী তোফাজ্জল করিম ও প্রশাসনের কয়েকজন লোক টইটংয়ের এক আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় রূদ্ধদার বৈঠক করেছিল। আমি এ সংবাদকে অবিশ্বাসযোগ্য বলে উড়িয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আজ তার বাস্তব প্রমাণ মিলল। উদ্ধার হওয়া ব্যালেট আর সকালে দেয়া ব্যালেট হুবহু তবে সিরিয়াল নাম্বারের অমিল। আমার সন্দেহ বাক্সের ভিতরের ব্যালট পেপার পুনঃ যাচাই বাচাই করা হলে কারচুপির বিষয়টা প্রমাণিত হবে। অন্যান্য ৯ ওয়ার্ডের প্রার্থীদের দাবীও ভোট পুনঃগণনা ও যাচাই-বাচাই করা হোক।

এ বিষয়ে জানতে দায়ীত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. বেলাল হোছাইন এর ব্যবহৃত মুটোফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উজানটিয়া ইউপি নির্বাচনের দায়িত্ব প্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ব্যালেট উদ্ধারের বিষয়টি জেনেছি।তদন্তের আগে বিস্তারিত বলতে পারছি না।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন